বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ। ফজরের নামাজের পর বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার শেষ দিনের কর্মসূচি। আজ দুপুর ১২টার মধ্যে শুরু হবে ইজতেমার আখেরি মোনাজাত। 

মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ সাহেব। তিনি ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলবীর বড় ছেলে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। 

সাদ অনুসারী তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমার সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ সাহেব হেদায়েতের বয়ান শুরু করবেন। যার বাংলা তরজমা করবেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। হেদায়েতের বয়ান শেষ হলেই শুরু হবে আখেরি মোনাজাত। দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন টঙ্গীর এলাকায় ঢাকা ও ময়মনসিংহ মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল শনিবার গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার ড.

মো. নাজমুল করিম খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছেন। 

১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার (সাদ পন্থি) দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে একই ময়দানে ৩১ জানুয়ারি থেকে জোবায়ের পন্থিদের প্রথম পর্বের দুই দফার বিশ্ব ইজতেমা ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ ব ইজত ম ব শ ব ইজত ম র

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারের নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুক্রবার মিয়ানমারে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পটি সম্ভবত কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। দুর্যোগ মডেলিংয়ে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ এর স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়নে বলা হয়েছে, মধ্য মিয়ানমারের সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার অগভীর ভূমিকম্পটি কম্পনজনিত প্রাণহানি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য লাল সতর্কতা রয়েছে।

এটি বলেছে, “উচ্চ প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুর্যোগটি সম্ভবত ব্যাপক আকার ধারণ করবে।”

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলটি মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের কাছে অবস্থিত। এখানে ১০ লাখেরও বেশি লোক বাস করে।

শনিবার সকালে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা  এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং  আহতের সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি।

তবে ইউএসজিএস এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ, যা ১০ হাজার থেকে এক লাখ মানুষের মধ্যে হতে পারে।

ইউএসজিএস আরো জানিয়েছে, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার হতে পারে। ক্ষতির পরিমাণ মিয়ানমারের জিডিপি ছাড়িয়ে যেতে পারে

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্বল অবকাঠামো, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা সামরিক-শাসিত রাজ্যে ত্রাণ প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলবে। কারণ ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে চার বছরের গৃহযুদ্ধেউদ্ধার পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ