চোর সন্দেহে নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, মারধর
Published: 16th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুরে চোর সন্দেহে এক নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পোড়াদহ বাজারে মেহেদী ফাতেমা বস্ত্রবিতানে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আবু জাফর মিরপুর উপজেলার কাটদহ গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হক বিশ্বাসের ছেলে ও মেহেদী ফাতেমা বস্ত্রবিতানের মালিক। নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও মারধরের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারীর হাত ধরে রেখেছেন আবু জাফর। এ সময় তিনি কর্মচারীকে মোবাইলে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে বলেন। কিন্তু, ওই নারী বার বার বলেন, আমি আর করব না; এবারের মত ক্ষমা করে দেন। আমার সংসার ভেঙে যাবে। অনেক অনুরোধ করা স্বত্বেও আবু জাফর তার গায়ের ওড়না কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর সবার সামনে মারধর করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবু জাফর বলেন, ‘‘প্রতিদিন দোকানে চুরি হচ্ছে। শনিবার দুপুরে ওই নারীকে চুরির মালামালসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে সামান্য মারধর করে ছেড়ে দিই।’’
এলাকাবাসী বলছেন, পুরুষ হয়ে এক নারীকে মারধরের বিষয়টি ন্যক্কারজনক। ওই নারী যদি সত্যি চোর হয়ে থাকেন, তাহলে তাকে পুলিশে দেওয়া উচিত ছিল।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি দেখেছি। বিষয়টি ন্যক্কারজনক। তবে, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনের খোঁজ মিলেছে– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনা থাকলেও এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তাদের ভাষ্য, আজকালের মধ্যে এমন তথ্যের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হতে পারে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সমকালকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে– এমন প্রচার আছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা এখনও উদ্ধার বিষয়ে নিশ্চিত নই। আজকালের মধ্যে পরিষ্কার হতে পারব।
পাহাড়ের বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চবি ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে ১৬ এপ্রিল সকালে পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা ও মৈত্রীময় চাকমা রাঙামাটি এবং অন্য দু’জন লংঙি ম্রো ও অলড্রিন ত্রিপুরা বান্দরবানের বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা এ অপহরণের ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন। তবে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
একাধিক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চাপের মুখে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে গত সোমবার রাতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সর্বোসিদ্ধিপাড়া এলাকা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।