এমনটা নতুন নয়। ক্যারিয়ারের সেরা সময়েই খুব বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজির রিটেইন (ধরে রাখা) খেলোয়াড়ের তালিকায় সাকিব আল হাসানের নাম দেখা যেত না। আর এখন তো তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ার একেবারে শেষের দিকে। সঙ্গে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য বোলিংটাও করতে পারেন না। এতে যা হওয়ার, সেটাই হয়েছে।

গতকাল মেজর লিগ ক্রিকেটের দলগুলো আগামী মৌসুমের জন্য রিটেইন ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করেছে। ২০২৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিবকে সামনের মৌসুমের জন্য ছেড়ে দিয়েছে (রিলিজ) দলটি।

মাত্র ৩ জন বিদেশি ক্রিকেটার ধরে রেখেছে শাহরুখ খানের দল। নাইট রাইডার্সের দুই ঘরের ছেলে সুনীল নারাইন ও আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার স্পেনসার জনসনকে রেখে দিয়েছে তারা।

সাকিবের মতো ছেড়ে দেওয়া খেলোয়াড়ের তালিকায় আছেন জেসন রয়, ডেভিড মিলার, অ্যাডাম জাম্পা। শুধু এঁরাই নন, প্যাট কামিন্স (সান ফ্রান্সেসকো ইউনিকর্নস), ট্রাভিস হেডকেও(ওয়াশিংটন ফ্রিডম) ছেড়ে দিয়েছে তাদের দল। এর কারণটা অবশ্য পারফরম্যান্স নয়।

আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। একই সময়েই মাঠে গড়াবে মেজর লিগ ক্রিকেট। তাই টেস্ট রেখে এই লিগে খেলার সুযোগ নেই তাদের। যদিও ওয়াশিংটন ফ্রিডম স্টিভ স্মিথকে ছাড়েনি।

সর্বশেষ ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে দিলেও সাকিবসহ রিলিজ পাওয়া সব ক্রিকেটারই একই টুর্নামেন্টে, এমনকি একই দলেও আবার খেলতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ড্রাফটে বিক্রি হতে হবে তাঁদের। এ বছরের এমএলসি প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। তবে সাকিব দল পান কি না দেখার বিষয়।

গত মৌসুমে নাইট রাইডার্সের হয়ে মাত্র ৪ ম্যাচ খেলেছিলেন এই বাঁহাতি। উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ১ টি, রান ৬০। এখন তো বোলিংও করতে পারছেন না। ব্যাটসম্যান সাকিবের প্রতি দলগুলো কি আগ্রহ দেখাবে?

সাকিবকে সর্বশেষ মাঠে দেখা গেছে গত বছরের নভেম্বরে, আবুধাবি টি-টেন লিগে। ভারতে লিজেন্ড ৯০ লিগে খেলার কথা থাকলেও সেখানেও তাঁকে দেখা যায়নি। তিনি বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন গত অক্টোবরে, টেস্টে ভারতের বিপক্ষে।

২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়া এই অলরাউন্ডার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশে আসতে পারছেন না। নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট খেলে বিদায় বলতে চাইলেও সেটি পারেননি। সুযোগ পাননি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড

বাংলাদেশে চলতি মার্চ মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় পর্যন্ত প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ পথে পাঠিয়েছেন ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রার এর পরিমাণ ৩৬ হাজার ২২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসেবে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কো‌টি ৩২ লাখ ডলার বা ১ হাজার ৩৯৩ কো‌টি ২১ লাখ টাকা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চের ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬১ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি মার্চ মাসের ২৬ পর্যন্ত যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, তা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮২ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চের ২৬ তা‌রিখ পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে একই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৬৯ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড
  • কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময় পরিবর্তন
  • ‘জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতীয়মান না হওয়া’য় ঢেকে রাখা হলো মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল
  • শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির তারিখ ঘোষণা
  • বিটিভিতে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে ডকুড্রামা
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ইউনিটের বিষয় পছন্দক্রম শুরু, সাক্ষাৎকারের তারিখও প্রকাশ
  • টিভির ‘ভৌতিক’ টিআরপি, পত্রিকার প্রচারসংখ্যায় দেওয়া হয় ‘গোলমেলে’ তথ্য
  • ইস্টার্ন ব্যাংকের ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • তিন কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
  • সৌদির নতুন হজ ব্যবস্থাপনা কতটা কার্যকর