দিল্লি রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে ৪ শিশুসহ ১৮ জন নিহত
Published: 16th, February 2025 GMT
মহাকুম্ভমেলাগামী ট্রেনে ওঠার সময় ভারতের নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এলএনজেপি হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০ নারী, তিন শিশু ও দুই পুরুষ এলএনজেপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া লেডি হার্ডিং হাসপাতালে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রেলওয়ে বিভাগ ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি, গুরুতর আহতদের ২ লাখ ৫০ হাজার রুপি ও সামান্য আহতদের এক লাখ রুপি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে স্টেশনের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রয়াগরাজগামী দুটি ট্রেন আসতে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হয়।
এই ঘটনার পরেই শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, পদপিষ্টের ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা কররছি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে প্রশাসন।
এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। মুখ্যসচিব ও পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত নয় দ ল ল দ র পর ব র আহতদ র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমার সীমান্তে গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ভেতরে গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকালে স্থানীয়রা মিয়ানমারের সীমানায় গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম (২০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত জাহাঙ্গীর আলম ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল কবিরের ছেলে। আহত অপরজন রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ হোসেন (২৭), যিনি ঘুমধুমের ভাজাবনিয়া এলাকায় বসবাসরত মিয়ানমার নাগরিক আব্দুল হাকিমের ছেলে। তাকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহত জাহাঙ্গীর বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তার বাম পায়ে দুটি গুলি লেগেছে। অপরজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।
আহতদের পরিবার জানিয়েছে, জাহাঙ্গীর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় চাষাবাদের জমিতে পানি দিতে গিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, তারা মিয়ানমারের ভেতরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের আনাগোনার কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহীরা ঘুমধুম সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের দুটি বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) চৌকি দখল করে।
সীমান্তের মিয়ানমার অংশে বিভিন্ন রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতার তথ্যও পাওয়া গেছে। তবে কার গুলিতে এই দুই যুবক আহত হয়েছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।