বেলিংহামের লাল কার্ডে জয়হীন রিয়াল মাদ্রিদ
Published: 16th, February 2025 GMT
লা লিগায় টানা তিন ম্যাচ জয়বঞ্চিত থাকল রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার রাতে ওসাসুনার মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, তবে বিরতির আগেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জুড বেলিংহামকে। দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে ওসাসুনা, আর শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগিতে মানিয়ে নিতে হয় লস ব্লাঙ্কোসদের।
শুরুর তিন মিনিটেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এরপর ১০ মিনিটে এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দেন ওসাসুনার গোলরক্ষক, তবে ১৫ মিনিটে আর সুযোগ হাতছাড়া করেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড। দলকে এগিয়ে দেন দুর্দান্ত এক গোলে।
তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে রিয়ালের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসে বেলিংহামের লাল কার্ড। রেফারির সঙ্গে বিতর্কে জড়ানোয় সরাসরি মাঠ ছাড়তে হয় ইংলিশ তারকাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে ৫২ মিনিটে সফল পেনাল্টি কিকে ওসাসুনাকে সমতায় ফেরান বুদিমির। এরপর রিয়াল একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি। ফলে টানা তৃতীয় ম্যাচে জয়শূন্য থাকতে হলো আনচেলত্তির দলকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।