আগে সংসদ না স্থানীয় সরকার নির্বাচন– প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রথম বৈঠকেই ভিন্নমত দেখা গেছে। বিএনপি এবং সমমনারা জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য যে কোনো নির্বাচনের ঘোর বিরোধী। তবে ছাত্র নেতৃত্ব ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদ আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইছে। 

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ছাত্রনেতাদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রথম বৈঠকে দাবি তোলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। ক্ষমতাচ্যুত দলটিকে সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন, জুলাই গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচনে অযোগ্য করতে নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। এ দাবির বিরোধিতা করেনি অন্য কোনো দল। ছাত্রনেতারা সংবিধান বাতিলের দাবিও করেন। তবে এতে কেউ প্রকাশ্য সমর্থন করেনি। 

ছাত্রনেতারা বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, কেউ কেউ ক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার এবং পুনর্বাসনের চিন্তা করছেন, তা হতে দেওয়া হবে না। বিএনপি নেতারা এসব বক্তব্যে বৈঠকে প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তবে বিএনপির সমমনারা স্থানীয় নির্বাচন প্রশ্নে প্রতিক্রিয়া দেখায়।

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দ্রুত ঘোষণার দাবিও তোলেন ছাত্রনেতারা। এতে সমর্থন জানায় খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দল। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের প্রস্তাবিত সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপির সমমনা দলগুলো। বামপন্থি দল বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ আগে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানায়। 

সভার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচন মেনে নেব না’। জামায়াতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া দলটির নায়েবে আমির ডা.

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে’।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়েছিলেন, সংস্কারের 

জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার তাঁর নেতৃত্বে কমিশন কাজ করবে। গত বুধবার ড. ইউনূসকে সভাপতি, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজকে সহসভাপতি এবং অপর পাঁচ সংস্কার কমিশনের প্রধানকে সদস্য করে ছয় মাস মেয়াদি ঐকমত্য কমিশন গঠন করে সরকার।

ছয় কমিশন এরই মধ্যে সংস্কারের সুপারিশ জমা দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে কীভাবে, কতদিনে এবং কতটুকু সংস্কার হবে– এ বিষয়ে সুপারিশ করবে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন কমিশন। গতকাল বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের প্রথম সভায় ২৭টি রাজনৈতিক দল ও জোটের ১০০ প্রতিনিধি অংশ নেন। দীর্ঘমেয়াদে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের আইনি কাঠামো তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি উদ্বোধনী ভাষণে রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বলেন, ‘সংস্কার যদি সঠিকভাবে করতে পারি, তাহলে বাঙালি জাতি হিসেবে যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন আপনাদের অবদান থেকে যাবে।’

বৈঠক শেষে কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজ সংলাপ হয়নি। জাতীয় ঐকমত্যের প্রক্রিয়া কী হবে, এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনার লক্ষ্য ছিল। রাজনৈতিক দল ও জোটের পক্ষে ৩২ জন কথা বলেছেন।’

সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে জানানো হয় ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রতিবেদন সংকলন করে রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হবে। এর পর দলগুলো মতামত দেবে কোন কোন সুপারিশের সঙ্গে তারা একমত এবং সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব। তার পর দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে বসবে কমিশন। সব শেষে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আবার সব দলকে নিয়ে বৈঠক হবে।

বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারের পর দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। তবে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক কমিটিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারে বেশি জোর দিচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, গতকালের বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, সংস্কার কার্যকর হয়েছে কিনা, সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন ও পুলিশ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম কিনা, তা যাচাইয়ে স্থানীয় নির্বাচনের ভোট প্রয়োজন।

বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান আগে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করেন। তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গুর হওয়ায় সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে রক্তপাত হবে। জাতীয় নির্বাচনও বিলম্বিত হবে।

এবি পার্টির প্রতিনিধিরা বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন কোনটি আগে বা পরে হবে– এর ওপর রক্তপাত নির্ভর করছে না। সরকারের প্রশাসনিক কর্তৃত্ব না থাকলে যে নির্বাচনই হোক, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না সরকার। সরকারকে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে ন্যূনতম সংস্কারে একমত পোষণ করা বিএনপি বৈঠকে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলেনি। 

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কারের বিষয়ে কমিশনগুলো যেসব সুপারিশ করেছে, এর ওপর আলাপ-আলোচনা হবে। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে কথা বলবে কমিশন। বিএনপি আশা করে, খুব দ্রুত ন্যূনতম ঐকমত্য হবে। এর ভিত্তিতে দ্রুত হবে জাতীয় নির্বাচন। প্রথম বৈঠকের আলোচনা ছিল পরিচিতিমূলক। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন কথা বলেছে, তা তাদের নিজস্ব মত। 

বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।

ডা. তাহের সাংবাদিকদের বলেন, সব ইতিবাচক সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে জামায়াত। কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবগুলো দেওয়ার পর পর্যালোচনা করা হবে। কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় মূল সিদ্ধান্ত জানানো হবে। 

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্র অসম্ভব। বাংলাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও ঐক্য দিন দিন বিনষ্ট হচ্ছে। গণপরিষদ ও জাতীয় নির্বাচন এবং সংস্কার একসঙ্গে চলতে পারে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নই দেশের ভবিষ্যৎ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, বাংলাদেশের পরবর্তী রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ অপ্রাসঙ্গিক। জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর দোসরদের বিচারে হস্তক্ষেপ হলে আবার প্রতিবাদ শুরু হবে। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রধান দায়বদ্ধতা হচ্ছে, খুনিদের বিচার করা। তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দ্রুত তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছি।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আছে ঠিকই, কিন্তু কর্তৃত্ব সুস্পষ্ট হয়নি। এ রকম কর্তৃত্বহীন অবস্থায় নির্বাচন হবে বিপজ্জনক। ব্যারিস্টার পার্থ বলেছেন, আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে দাঙ্গা শুরু হতে পারে। পুলিশ এখনই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, তখনও পারবে না। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, নির্বাচনের সময় নির্ধারণের চেয়ে জরুরি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। 

নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে মোটামুটি সবাই একমত। জাতীয় নির্বাচন যদি ডিসেম্বরে হয়, তাহলে কি ১০ মাস স্থানীয় সরকারে প্রতিনিধিহীন থাকবে? তাই আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলেছি।

আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদা এবং জোটগতভাবে কথা হবে। এর পর আমার হয়তো সবাইকে একত্র করে ফিরে আসব। এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা করতে চাই না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদা সংলাপে কতদিন লাগতে পারে– প্রশ্নে আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। কমিশনের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব ঐকমত্যে পৌঁছা। যাতে নির্বাচনের পথে এগোতে পারি।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ত ত ব দলগ ল র ব এনপ প রথম সরক র ইসল ম আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাছে নির্বাচনের প্রস্তাব গণসংহতি আন্দোলনের

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। সেই প্রস্তাবে সংস্কার বাস্তবায়নে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন’–এর প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের কাছে এ প্রস্তাব জমা দেয় গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনিরুদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু ও দীপক রায়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণসংহতি আন্দোলন এ তথ্য জানিয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান বলেন, গণতান্ত্রিক বিনির্মাণের জন্য এ দেশের মানুষ অনেক দিন ধরে সংগ্রাম করছেন। মানুষের সংগ্রামে বারবারই একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় সংবিধানসহ রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন এবং সর্বশেষ গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এটা বাংলাদেশের মানুষের সামগ্রিক অভিপ্রায়ে পরিণত হয়েছে। জনগণের এই অভিপ্রায়কে স্বীকৃতি দিতেই আগামী সংসদ নির্বাচনকে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন’ হিসেবে চায় গণসংহতি আন্দোলন।

জনগণের অভিপ্রায়ের প্রকাশ হিসেবে যখন সংবিধান সংস্কার করা হবে এবং গণভোটের মাধ্যমে তা গৃহীত হবে, তখন সেটা সংবিধানের মূল কাঠামো হবে বলেও উল্লেখ করেন আবুল হাসান। তিনি বলেন, যাকে রক্ষা করাই হবে সর্বোচ্চ আদালতের দায়িত্ব। এর ভেতর দিয়ে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি রচিত হবে।

আইন কমিশন গঠন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কীভাবে সমাজে গণতান্ত্রিক পরিসরের ক্ষতি না করে সামগ্রিক বিকাশের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়, এ বিষয়েও আইন প্রণয়ন করা, ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংস্কার করে একই পরিবারের একাধিক সদস্যদের বারবার ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সদস্য হওয়ার যে আইন, তা বদলের প্রস্তাবও দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: সৈয়দা রিজওয়ানা
  • নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন করা আসলে কঠিন: জোনায়েদ সাকি
  • জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের কিছু রায় দেওয়ার অবশ্যই চেষ্টা করব: রিজওয়ানা হাসান
  • জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ঐকমত্য করব: রিজওয়ানা হাসান
  • সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাছে নির্বাচনের প্রস্তাব গণসংহতি আন্দোলনের