‘বাংলাদেশের ভক্তরা শুনলে রাগ করতে পারেন, কিন্তু তারা সেমিফাইনালে যাওয়ার মতো দল নয়।’

আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের। দেশ ছাড়ার আগে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে সেটাই বলেছেন তিনি। নাজমুলের কথা শুনে যাঁদের প্রত্যাশা একটু বেড়ে গিয়েছিল, তাঁদের আসলেই ‘আশাহত’ করতে পারে এবি ডি ভিলিয়ার্সের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই তারকা মনে করেন, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেও যেতে পারবে না!

নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘এবিডিভিলিয়ার্স৩৬০’–এ ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলগুলোর শক্তি–দুর্বলতা পর্যালোচনা করে একটি ভিডিও দিয়েছেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি। সেখানে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও, যদিও সমর্থকদের জন্য খুব আশার কথা শোনাননি তিনি। এ জন্যই এবিডি ভিলিয়ার্সের শঙ্কা— তাঁর কথা শুনে রাগও করতে পারেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা।

সত্যি বলতে আমার মনে হয় না তারা নকআউট পর্বে যেতে পারবে। বাংলাদেশের ভক্তরা আমার ওপর রাগ করতে পারেন এটা বলায়, কিন্তু আমার মনে হয় না তারা নক আউটে যেতে পারবে।এবি ডি ভিলিয়ার্স

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সত্যি বলতে আমার মনে হয় না তারা নকআউট পর্বে যেতে পারবে। বাংলাদেশের ভক্তরা আমার ওপর রাগ করতে পারেন এটা বলায়, কিন্তু আমার মনে হয় না তারা নক আউটে যেতে পারবে।’

এবি ডি ভিলিয়ার্স.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুরালিধরনের বাড়ি ও একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরির গল্প

শ্রীলঙ্কার পাহাড়ি শহর ক্যান্ডি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরত্বের শহরতলি কুন্ডেসালে জন্ম ও বেড়ে ওঠা মুত্তিয়া মুরালিধরনের। ২০০৭ সালে মুরালিধরনের সেই বাড়িতে গিয়েছিলেন উৎপল শুভ্র। কথা বলেছেন তাঁর বাবার সঙ্গেও। মুরালির ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে সেই অভিজ্ঞতার গল্প।

ক্যান্ডি নামটা এসেছে ‘কানডা উডা রাতা’ থেকে। ইংরেজিতে কানডা উডা রাতা মানে ‘ল্যান্ড অব মাউন্টেনস’। বাংলা কী হবে—পাহাড়ের শহর? এই শহরের এক মন্দিরে গৌতম বুদ্ধের একটি দাঁত আছে বলে দাবি। কাচের একটা আধারে রাখা সেই দাঁত হাতির পিঠে চড়িয়ে বার্ষিক একটা শোভাযাত্রাও হয় এখানে। তা দেখতে বিপুল পর্যটক সমাগমও হয়। ক্রিকেট বিশ্বের কাছে অবশ্য পাহাড়, মন্দির বা বুদ্ধের দাঁত নয়, ক্যান্ডির একটাই পরিচয়—মুত্তিয়া মুরালিধরনের শহর।

ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা অফ স্পিনার, অফ-লেগ সব মিলিয়েই তাঁকে সর্বকালের সেরা স্পিনার বলে মানেন অনেকে। ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত চরিত্রও। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে তাঁর ওপর দিয়ে, বেশির ভাগ খেলোয়াড় তা সামলে পারফর্ম করা দূরে থাক, খেলা ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে বাঁচত। কোথা থেকে পেলেন মুরালিধরন এই অসম্ভব মানসিক শক্তি? তা খুঁজতেই ক্যান্ডি শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরের শহরতলি কুন্ডেসালে যাওয়া। সেখানেই যে মুত্তিয়া মুরালিধরন নামের বোলিং-বিস্ময়ের জন্ম।

কিন্তু মুরালির ৬৫ বছর বয়সী বাবা এম মুত্তিয়ার সঙ্গে কথা বলে মুরালি-রহস্য উদঘাটন দূরে থাক, উল্টো আরও ধাঁধায় পড়ে যেতে হলো। এমন সাদাসিধে এক পরিবারে জন্ম নিয়ে কীভাবে মুরালিধরন মুরালিধরন হলেন!

কুন্ডেসালে নিজেদের বাড়ির সামনে মুরালিধরনের বাবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ