‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ তাঁকে দুহাত ভরে দিয়েছে
Published: 16th, February 2025 GMT
‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ সিরিজের সফলতা প্রসঙ্গে এই গুণী অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘প্রথম সিজনের পর দ্বিতীয় সিজনেও মানুষ আমাদের একই রকম ভালোবাসা দিচ্ছেন। আমাকে অনেকে বড় বড় মেসেজ লিখে পাঠিয়েছেন। মেসেজগুলো পড়ে বোঝা যাচ্ছে, সবাই সিরিজটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন। “বন্দিশ ব্যান্ডিটস” আমাকে অনুভব করিয়েছে যে আমি একজন অভিনেত্রী। আমি আপ্লুত।’একটু থামলেন। যোগ করলেন, ‘এই সিরিজ আমাকে দুহাত ভরে দিয়েছে। আর সবচেয়ে ভালো দিক যে “বন্দিশ ব্যান্ডিটস”-এর প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়েছে। এই সিরিজের প্রথম সিজন মুক্তি পাওয়ার পর অনেকে তাঁদের সন্তানদের শাস্ত্রীয় সংগীত শেখানো শুরু করেছিলেন। একজন শিল্পী হিসেবে এটা অনেক আনন্দের বিষয়। আর এই সিরিজের অংশ হতে পেরে আমি সত্যি গর্ব অনুভব করি।’
নিজের মায়ের একটি কথাও প্রসঙ্গক্রমে শোনান শ্রেয়া, ‘মা আমায় বলেছেন, এই সিরিজ করার সময় যা কিছু আমি শিখেছি, তা যেন সারা জীবন আগলে রাখি। আর আনন্দ (তিওয়ারি) স্যার বলেছিলেন, পুরো জনসংখ্যার মধ্যে আমরা সেই ১ শতাংশ মানুষ, যাঁরা এই সিরিজের অংশ হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।
শ্রেয়া চৌধুরী। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই স র জ
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে ২৮ বস্তা টাকার পাশাপাশি প্রায় এক বস্তা চিঠি-চিরকুট পাওয়া গেছে। চিঠিতে কেউ প্রিয় মানুষের ভালোবাসা পেতে, কেউবা নিজের বিয়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন। কেউ নিজের সন্তানের রোগমুক্তি কামনা করেছেন। কেউ আবার পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চেয়ে পাগলা বাবার কাছে চিঠি লিখেছেন।
৪ মাস ১২ দিন পর আজ পাগলা মসজিদের ১১টি সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুকে মোট ২৮ বস্তা টাকা, এক বস্তা চিরকুট, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে। দিনভর গণনার পর এবার রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার।
দানের পাশাপাশি মনোবাসনা পূরণে কেউ কেউ সিন্দুকে চিরকুট বা চিঠি ফেলে যান। মানুষের ধারণা, এখানে চিরকুটের মাধ্যমে কিছু চাইলে, সেটাও পাওয়া যাবে। গতবার চিঠির বিষয়টি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এবার বেনামি চিঠির পরিমাণ বেশি ছিল। কিছু চিঠিতে নাম থাকলেও ঠিকানা দেওয়া ছিল কম।
মো. ইমরান নামের এক তরুণ ভালোবাসার মানুষ রাবেয়াকে কাছে পেতে দানবাক্সে একটি চিরকুট রেখে গেছেন। চিঠিতে ইমরান লিখেছেন, ‘ইয়া পাগলা বাবা, আমাদের সালাম গ্রহণ করবেন। আমাদের আরজি কবুল করুন। আমাদের মনের বাসনা আপনি বোঝেন। ইমরান ভালোবাসে রাবেয়া আক্তারকে। রাবেয়ার পরিবার ইমরানকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি না। আপনি রাবেয়াকে এনে দেন।’
বেনামি একজন বিয়ের আকুতি জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি খুব অসহায়। আমার বিয়ে বারবার ভেঙে যাচ্ছে। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে চিন্তিত। চারপাশের মানুষের কটুকথা আমি আর সহ্য করতে পারছি না। তুমি জানো আমি নির্দোষ ও নিরপরাধ। আমার বিয়েতে যদি কোনো বাধাবিপত্তি থাকলে তুমি সমাধান করে দাও...তুমি আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না।’
আরও পড়ুনপাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া গেল রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা১ ঘণ্টা আগেবেনামি আরেকটি চিরকুটে একজন পাগলা বাবার কাছে শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে জানতে চেয়েছেন, ‘পাগলা চাচা, শেখ হাসিনা কোথায়?’ আরেকজন ‘সাধারণ জনগণ’ নামে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমতায় দেখতে চেয়ে লিখেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’
রেহানা সারোয়ার নামের একজন সন্তান কামনা করে চিঠি লিখেছেন। তিনি নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে ১২ বছর চলতাছে। কিন্তু এখনো আমি কোনো সন্তানের মা হতে পারলাম না। অনেক ডাক্তার দেখাইছি, কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই। আমি এমন কোনো দিন নাই, এমন কোনো রাত নাই, আমার আল্লাহর কাছে হাত তুলে কাঁদি নাই...আমাকে একটা নেক সন্তানের মা হওয়ার সুযোগ দেন।’
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া টাকা গণনার কাজ করছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ অন্যরা