আলোচিত ইসলামিক বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর আগমনকে কেন্দ্র করে মুরাদনগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের আমপাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহতরা হলেন– নিজাম উদ্দিন, ইয়াসিন, রুবেল মাঝি, মনির হোসেন, জুয়েল, আল-আমিন, রহমান শিকদার, কাজল খান, ফাহিম শিকদার, ডালিম সরকার।

স্থানীয়রা জানান, মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের আমপাল গ্রামের সুরুজ ফকিরের বাড়িতে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মাহফিল হওয়ার কথা। মাহফিলে গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর আগমনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর আগমন প্রতিহত করতে এলাকার কিছু লোক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর আমপাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিবাদ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি আমপাল পূর্বপাড়া ডালিমের বাড়ির সামনে এলে হামলা চালায় সুরুজ ফকিরের অনুসারীরা। এ সময় মিছিলকারীরাও পাল্টা হামলা করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

মিছিলকারী হানিফ মাঝি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই সুরুজ ফকিরের অনুসারীরা লাঠিসোটা নিয়ে মিছিলে হামলা করে। আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা বিচার চাই।’

মাহফিলের আয়োজক রবিউল জানান, মিছিল নিয়ে মাজার ভেঙে দিতে আসছে এমন খবরে নারী-পুরুষরা বাধা দেন। এ সময় তাদের হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ আহত

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে বিএনপি ও এনসিপির শোডাউন-জনসভা ঘিরে উত্তেজনা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুরাদনগরের রাজনৈতিক মাঠ ক্রমেই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। শনিবার মুরাদনগরে বিএনপি ও এনসিপি শোডাউন করে জনসভা আহ্বান করেছে। তবে দুই দলের কেউই প্রশাসনের কাছে শোডাউন ও জনসভার অনুমতি চেয়ে লিখিত কোনো আবেদন করেনি বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সংঘাতের আশংকায় উভয় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

বিএনপি নেতারা বলেন, ১৯ এপ্রিল শনিবার আন্দিকোট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ সামসুল হক কলেজ মাঠে পূর্ব থেকেই জনসভার ডাক দিয়েছে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের। জনসভা সফল করতে এলাকায় পোষ্টার  সাটানো ও মাইকিং করে চালানো হয়েছে প্রচারণা।

অপরদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনপিসি) নেতারা বলেন, তারাও একই দিনে (শনিবার) একই সময়ে বিএনপির সভাস্থলের পার্শ্ববর্তী আকবপুর ইউনিয়নের পীর কাশিমপুর হাইস্কুল মাঠে বাঙ্গরা দলটির বাজার শাখার উদ্যোগে জনসভার ডাক দিয়েছে। ওই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার বাবা মো. বিল্লাল হোসেন মাষ্টারের নামে পোষ্টার সাটানোসহ প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

বিএনপির সাথে একই দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টির জনসভা ডাক দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি নতুন দল। তাদেরকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি তাদেরকে কখনোই প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করে না। মুরাদনগরে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৯০% ভোট পাবে দাদা কায়কোবাদ।

বিএনপির জনসভার আয়োজনের খরচের উৎস জানতে চাইলে মহিউদ্দিন অঞ্জন সমকালকে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত টাকা এবং দলীয় ফান্ড থেকেই এই জনসভার আয়োজন করা হচ্ছে। এ সময় তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির জনসভার খরচের বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, মুরাদনগরে প্রত্যেকটি জায়গা থেকে এখন চাঁদাবাজি করছে জাতীয় নাগরিক পার্টির লোকজন।

তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির লোকজনের চাঁদা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মুরাদনগর উপজেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক উবাইদুল হক সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের চাঁদাবাজি আড়াল করতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দিচ্ছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি তার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করবে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার মধ্য দিয়ে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমান জানান, জনসভা করার বিষয়ে দুই দলের কারো পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি চাওয়া হয়নি। বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি।

অনুমতি না চাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসভা বন্ধ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুরাদনগরে বিএনপি ও এনসিপির শোডাউন-জনসভা ঘিরে উত্তেজনা
  • সেতুর অভাবে দুর্ভোগ তিন উপজেলাবাসীর