ল্যাংড়া তালেবকে গ্রেপ্তার করল র্যাব
Published: 15th, February 2025 GMT
হবিগঞ্জ রেলক্রসিং এলাকা থেকে ডাকাতদলের মূল হোতা আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেবকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর রেলসিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আবু তালেব চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের মৃত আব্দুল শহিদের ছেলে।
শনিবার র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো.
থানার ওসি দিলীপ কান্ত নাথ বলেন, আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেব গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় চুরির ১৮টি, অস্ত্রআইনে ২টি, ডাকাতির ৪টি, মাদকের ২টিসহ ২৬টি মামলা আছে। এসব মামলা আদালতে তদন্তধীন ও বিচারাধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর ল্যাংড়া তালেবকে চার সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন তার কাছ থেকে পাঁচটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। ওই সময় সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, ল্যাংড়া তালেবের সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গাড়ি চুরি করে আসছে। তারা আবার মালিককে টাকার বিনিময়ে গাড়ি ফেরতও দেয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের টিকিট নিয়ে কোনো কালোবাজারি হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঈদযাত্রা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমি অনেক খুশি। এবার ঈদযাত্রাটা ভালো হচ্ছে। আর কালোবাজারির বিষয়ে আমাদের ছিল জিরো টলারেন্স।’
আজ রোববার ঈদযাত্রা উপলক্ষে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে আসেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমি স্টেশন ঘুরে দেখেছি, ট্রেনগুলো যে সময়ে ছাড়ার কথা, ঠিক সময়েই ছেড়েছে। কোনো ট্রেন ছাড়তে দেরি হচ্ছে না। এখানে কোনো কালোবাজারি হচ্ছে না। টিকিট পেতেও কারও কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, এখানে ২৫ শতাংশ টিকিট স্ট্যান্ডিং দেওয়া হয়। এবারও তা–ই দেওয়া হয়েছে। এ জন্য অনেক সময় মনে হয় স্ট্যান্ডিং প্যাসেঞ্জার কেন? ঈদের সময় সবাইকে নেওয়ার জন্য স্ট্যান্ডিং পেসেঞ্জার নেওয়া হচ্ছে।’
ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকে শেষ মুহূর্তে ছাদে উঠে যায়। তখন তাকে টেনে নামাতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য অনেকে ছাদে যাচ্ছে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা অনেক খুশি। তারা কমফোর্টেবল ভাবে যাত্রা করতে পারছে। অনেকের দাদা-দাদি, নানা-নানির সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছে।’
সিডিউল বিপর্যয় রক্ষায় এবার কি মেকানিজম ছিল সরকারের পক্ষ থেকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিডিউল বিপর্যয় ছাড়া ঈদযাত্রার যে মেকানিজম, সেটা আপনারা অনুসন্ধান করে বের করবেন। এই বিষয়ে আমাদের ছিল জিরো টলারেন্স। আমাদের কথা ছিল, কোনো ধরনের দুর্নীতি আমরা প্রশ্রয় দেব না। আমরা এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেইনি।’
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘আমাদের যেসব কর্মকর্তা আছে রেলের, তাদের ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছিল, তারা যেন ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন করে। আপনারা দেখেছেন অনেক সময় রেলের কর্মকর্তারা কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত ছিল। আল্লাহর রহমতে এবার একজনও জড়িত হয় নাই।’
এ সময় রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।