২০ পরিবারকে বের করে আশ্রয়ণকেন্দ্রে লুটপাট
Published: 15th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কয়েক ঘণ্টা ধরে একটি আশ্রয়ণকেন্দ্রে তাণ্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ২০টি ঘর ভাঙচুর করে দরজা-জানালাসহ সব জিনিসপত্র লুটে নিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলে এ তাণ্ডব।
এলাকাবাসী জানায়, দড়িকান্দি এলাকায় কয়েক বছর আগে সরকার আশ্রয়ণকেন্দ্রের ২০টি ঘর নির্মাণ করে। একই প্রকল্পের আওতায় আরও কয়েকটি ঘর নির্মাণ করা হয় উপজেলার কাঞ্চন, বিরাবসহ বিভিন্ন স্থানে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দড়িকান্দির আশ্রয়ণকেন্দ্রে হামলা করে। তারা সেখানে থাকা ২০টি ঘরের বাসিন্দাদের বের করে দেয়। পরে সব ঘরে ভাঙচুর শুরু করে।
হামলাকারীরা শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে ঘরগুলোতে লুটপাট চালায়। তারা ভেতর থেকে আসবাবসহ দরজা-জানালাও খুলে নিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে এদিন বিকেল ৩টার দিকে রূপগঞ্জের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম, রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলীসহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা দড়িকান্দি আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে যান। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল আলম বলেন, দুর্বৃত্তরা দড়িকান্দির সরকারি আশ্রয়ণকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। তারা ২০ ঘর ভাঙচুর করে দরজা-জানালাসহ সব মালপত্র লুটে নেয়। কেন্দ্রের বাসিন্দা পরিবারগুলোকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়েও দেয় তারা। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে। যাদের বিরুদ্ধে এতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনার পর ২০টি পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। তাদের সব সদস্য চরম আতঙ্কিত। তবে আবারও হামলার আশঙ্কায় কেউ মুখ খুলছেন না। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ ব্যক্তিই ঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী শনিবার রাতে এ বিষয়ে সমকালকে বলেন, দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে। তারা যে দলেরই হোক না কেন, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নয় অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত
কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কায় বাংলাদেশের নয়টি অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানিয়েছেন, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঢাকা/হাসান/রফিক