শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ছাগল চুরির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। শুক্রবার রাতে নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর জমদ্দার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী ফাহিম জমাদার নড়িয়া থানায় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির মুন্সীসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত পাঁচজন হলেন- নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির মুন্সী (৫৫), তার ভাই ফজলুল হাসান বাদল মুন্সী (৬০), রাকেশ মুন্সী (২০), শাকিল মুন্সীর ছেলে ছাব্বির মুন্সী (২৫) ও দাদন সরদারের ছেলে সারোয়ার সরদার (২৬)

স্থানীয় ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ফাহিম জমাদারের বাবা সোহরাব জমাদারের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির মুন্সীর দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে চেয়ারম্যানের ভাতিজা রাকেশ মুন্সী, ছাব্বির মুন্সীসহ কয়েকজন যুবক ফাহিম জমাদারকে ডেকে নিয়ে গিয়ে একটি ক্লাবে চার ঘণ্টা আটকে রাখে এবং লোহার রড দিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে পরিবারের লোকজন ফাহিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ফাহিম। এরই জেরে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে অভিযুক্তরা প্রতিশোধ নিতে ফাহিমের বাড়ি থেকে দুটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফাহিম জমাদার বলেন, ‘আমাকে চেয়ারম্যান জাকির মুন্সী ও তার লোকজন মারধর করেছে। আমি থানায় অভিযোগ করার পর শুক্রবার গভীর রাতে আমাদের দুটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যায় এবং আমাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।’

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাকির মুন্সীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ছোট করার জন্য একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তবে মারধর ও হুমকির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত আছেন বলে কল কেটে দেন।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

মারধরে কলেজশিক্ষকের মৃত্যু, হামলাকারী আটক

কক্সবাজারের উখিয়ায় মারধরে এক কলেজশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। দোকান ভাড়া–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির মারধরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে উখিয়া সদরের ঘিলাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে।

নিহত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ইকবাল (৫০)। তিনি উখিয়া ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চার শিক্ষক ছিলেন। আটক ব্যক্তির নাম মো. শরিফ প্রকাশ বট্টল (৪৫)। তিনি উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারবিল গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, এলাকায় কলেজশিক্ষক ইকবালের একটি দোকানে ভাড়াটে হিসেবে রয়েছেন শরিফ। রাতে দোকান ভাড়া–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে ইকবালের কথা-কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে মোহাম্মদ ইকবালের ওপর হামলা করেন শরিফ। ইকবালের চোখ-মুখ, মাথা, পেটে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন তিনি। হইচই শুনে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ইকবালকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোহাম্মদ ইকবালের বড় ছেলে ইফতিয়াজ নুর বলেন, ‘চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় শরিফকে দোকান ছেড়ে দিতে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাতে গড়িমসি শুরু করেন শরিফ। গতকাল রাতে দোকান ছাড়ার কথা নিয়ে বাবার সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। হাতাহাতির এক পর্যায়ে বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর মাথা-মুখ ও পেটে লাথি মারতে থাকেন শরিফ। এতে বাবার মৃত্যু হয়।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসাইন বলেন, হত্যায় অভিযুক্ত মো. শরিফকে আটক করা হয়েছে। কলেজশিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ