Samakal:
2025-02-22@09:05:15 GMT

নারী কারুশিল্পীদের জীবন

Published: 15th, February 2025 GMT

নারী কারুশিল্পীদের জীবন

নারীরা এখন অবসরে নেই। সাংসারিক কাজের ফাঁকে তারা নিপুণ হাতে বিভিন্ন কারুপণ্য তৈরিতে ব্যস্ত। নিখুঁতভাবে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পকর্মে। এমন চিত্র দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী এ মেলা শুরু হয় গত ১৮ জানুয়ারি। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ কর্মরত কারুশিল্প প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দক্ষ নারী কারুশিল্পীরা এসেছেন।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিশাল মাঠজুড়ে চারু-কারুশিল্পীদের হাতে তৈরি নানা পণ্যের প্রদর্শনীর স্টল। তাদের ৩২টি স্টলসহ মোট ১০০টি স্টল নিয়ে এবার আয়োজন করা হয়েছে লোকজ মেলার। বাঁশ, বেত, কাঠ, শোলা, মাটি, তামা, কাঁসা, পিতলের তৈরি পণ্যসহ পাটজাত দ্রব্য, নকশিকাঁথা, জামদানি কাপড়, শীতলপাটি ও শতরঞ্জির পসরা সাজিয়ে বসেছেন চারু-কারুশিল্পীরা।
এ কারুশিল্প প্রদর্শনীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ২২ জন নারীশিল্পী। পুরুষের পাশাপাশি নারী কারুশিল্পীরা তৈরি করছেন নজরকাড়া সব পণ্য। উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হচ্ছেন এসব মনোরম কারুপণ্য দেখে।
কথা হয় নকশিকাঁথা শিল্পী হোসনে আরার সঙ্গে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে কারুশিল্পী হিসেবে এ মেলায় অংশগ্রহণ করে আসছেন। তাঁর বাড়ি সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামে। তিনি নকশিকাঁথার পাশাপাশি সুই-সুতার সূক্ষ্ম কাজ করা পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, শাড়ি, রুমাল, কুশন কভারসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করেন। এ বছর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন আজীবন পুরস্কার পেয়েছেন। এ কারুশিল্পীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন তাঁর মেয়ে আসমা। তিনি জানান, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন তাঁকে নকশিকাঁথার প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে। একসময় তিনিও প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। তাঁর শিক্ষক ছিলেন হাসনা হেনা। হোসনে আরা এ ফাউন্ডেশনে ‘নকশিকাঁথার মাঠ’ নামে এক প্রকল্প থেকে নকশিকাঁথার প্রশিক্ষণ নেন।
বাঁশের ছোট্ট একটি যন্ত্র। এতে লম্বা ও আড়াআড়িভাবে লাগানো হয়েছে পাটের সুতা। পাশেই দেখা গেল কাপড়ের সাদা ও রঙিন সুতা। একজন নারী বাঁশের যন্ত্রের ওপর থাকা পাটের সুতার ভেতরে উলের সুতা ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। যন্ত্রটি একটু একটু করে নড়ছে। এভাবেই তৈরি হচ্ছে শতরঞ্জি। রংপুর থেকে উৎসবে এসেছেন ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জি কারুশিল্পী বিউটি বেগম। তিনি এ মেলায় ১৯৯৬ সাল থেকে আসছেন। 
সোনারগাঁর নকশি হাতপাখার কারুশিল্পী হিসেবে লোকজ মেলায় অংশ নিয়েছেন বাসন্তী রানী সূত্রধর। তিনি জানান, এ মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী হয়ে অংশ নেওয়া তাঁর জন্য গৌরবের। যান্ত্রিক জীবনে এখন তালপাতার হাতপাখার কদর কমে গেছে। এখন এ পাখা আর কেউ ব্যবহার করেন না। নকশি হাতপাখা এখন ঐতিহ্য। তাদের তৈরি হাতপাখা কেউ কিনলে তাঁর ভালো লাগে।  
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশীয় ঐতিহ্য ও কারুশিল্পীদের পুনরুজ্জীবিত করার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ভবিষ্যতে লোকজ উৎসবে নারী কারুশিল্পীদের আরও বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।’ v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নকশ ক

এছাড়াও পড়ুন:

শেকৃবিতে শিবিরের প্রকাশনা উৎসব বন্ধের নির্দেশ

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ছাত্রশিবির আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রকাশনা উৎসব বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে প্রশাসনের প্রস্তুতির কারণ দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক।

জানা যায়, পূর্বঘোষিত ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি এ দুইদিনের অনুষ্ঠানে প্রথম দিন শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের জন্য অপেক্ষা না করে স্টলগুলো তুলে দিতে বলে প্রশাসন। অন্যথায় স্টল ভেঙে ক্লিন করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে অনুষ্ঠানে এসে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক বলেন, বাধা দেওয়া হয়নি বরং আমরা আয়োজকদের অনুরোধ করেছি যেন তারা অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করে এবং আজকের মধ্যেই শেষ করে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও ২১ ফেব্রুয়ারির প্রস্তুতির বিষয় বিবেচনায় নিয়েই প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা না শুনলে পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

তবে আয়োজক ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রকাশনা উৎসবটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা হচ্ছিল এবং এতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা ছিল না। 

এদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকেই প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানালেও অনেকে এর বিরোধিতা করছেন। প্রকাশনা উৎসবে আগত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এখানে কেবলমাত্র বই দেখতে ও কিনতে এসেছি। এটা তো কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়, তাহলে কেন এটি বন্ধ করা হবে? বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন চিন্তার বিকাশ হওয়া উচিত, কিন্তু বারবার এভাবে বাধা দেওয়া হলে আমাদের জুলাইয়ের উদ্দেশ্য ব্যহত হয়।

এ নিয়ে শেকৃবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবুল হাসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য একটি প্রকাশনা উৎসব করেছি। যা আমরা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেছি এবং প্রশাসনের মৌন সম্মতিতে করেছি। ২১ ফেব্রুয়ারি আয়োজন বিবেচনায় রেখে আমরা অনুষ্ঠানটি শহিদ মিনারের পাশে থেকে সরে টিএসসির সামনে আনি। পাশাপাশি রাত ৮ টার মধ্যে সব কার্যক্রম শেষসহ স্থানটি আগের মতো পরিচ্ছন্ন করে রাখারও কথা দিয়েছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব
  • বরগুনায় বর্ণমালা উৎসব
  • ‘এমন উৎসব আরও বেশি হওয়া উচিত’
  • চাটমোহরে দুই দিনব্যাপী কবিতা উৎসব শুরু
  • ওয়ালটন পণ্য কিনে আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ
  • ‘জীবনজালের এপার-ওপার’-এ কিংবদন্তি লিনুর গল্প
  • ইচ্ছে না করলে দেখবে না, কেন বললেন জয়া
  • কক্সবাজার সৈকতে কাল শুরু হচ্ছে ২১ জাতিগোষ্ঠীর উৎসব
  • শুরু হলো সিনে ক্যারাভান চলচ্চিত্র উৎসব
  • শেকৃবিতে শিবিরের প্রকাশনা উৎসব বন্ধের নির্দেশ