চ্যাম্পিয়নস ট্রফির যাত্রা শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশের। এই টুর্নামেন্টে খেলতে নাজমুল হোসেনের দল দেশ ছেড়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে। দুবাইয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে তারা খেলবে প্রথম ম্যাচ। এর আগে সপ্তাহখানেক বাংলাদেশের প্রস্তুতি হবে দুবাইয়েই। সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছানোর পরদিন বিশ্রামে ছিলেন ক্রিকেটাররা।

এরপর গতকাল প্রথমবারের মতো অনুশীলন করে পুরো দল। অনুশীলনের পর দলের পেসার তানজিম হাসান বিসিবির এক ভিডিওতে বলেন, ‘আমাদের রিকভারি খুব ভালো হয়েছে। অনুশীলন করার পর শরীর আরও ভালো লাগছে।’

আরও পড়ুননিজের ছেলেকে যে পরামর্শ দেন, বাবরকেও সেই পরামর্শ দিলেন ডি ভিলিয়ার্স ৩ ঘণ্টা আগে


মূল টুর্নামেন্টে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই ম্যাচ হবে দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে। ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণও। বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল প্রায় দুই মাস আগে। অথচ এ মাসে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাকি ছয় দলই ওয়ানডে খেলেছে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তানজিমকে ঘিরে আশা থাকবে বাংলাদেশের।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গোল যত হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে

রিয়াল ৪-৪ সোসিয়েদাদ

(দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে রিয়াল জয়ী)

রাফায়েল নাদালকে দেখা যাচ্ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর গ্যালারিতে। গালে হাত দিয়ে চিন্তা ক্লিষ্ট মুখে বসে ছিলেন। মাঠে তাঁর প্রাণের দল রিয়াল মাদ্রিদ। কোপা দেল রে ফাইনালে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে নাদালের মতো দুশ্চিন্তায় ছিলেন রিয়ালের আরও অনেক সমর্থক। ১১৫ মিনিটে মাথার এক টোকায় সব দুশ্চিন্তা দূর করলেন আন্তনিও রুডিগার।

আরদা গুলেরের নেওয়া কর্নার থেকে হেডে গোল করেন রিয়াল ডিফেন্ডার। সেমিফাইনাল ফিরতি লেগের ম্যাচে তখন ৪-৪ গোলের সমতা আর দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। তখন নাদালের উল্লাস দেখে কে! বার্নাব্যু গর্জে ওঠার সঙ্গে নাদালও আসন ছেড়ে লাফিয়ে উঠলেন। হাত-পা ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করে মুখের ভঙ্গিটা এমন করলেন যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছুটল!

তা নয় তো কি? গত ফেব্রুয়ারিতে সান সেবাস্তিয়ানে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে প্রথম লেগ ১-০ গোলে রিয়াল জেতার পর তাদের ঘরের মাঠে ফিরতি লেগ আরও সহজ হবে ভেবে নেওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু গতকাল রাতে ফিরতি লেগের স্কোরকার্ডে লেখা হয়েছে অন্য গল্প। যেখানে ৮ গোলের রোমাঞ্চের মধ্যে আছে রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পও। ফিরতি লেগে তিনবার পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের জয়ে নিশ্চিত হয়েছে ফাইনাল। আর এতেই আরও একবার প্রমাণ হলো, ম্যাচে গোল যতই হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে!

আরও পড়ুনম্যাচসেরার পুরস্কার কেউ পান ডিম, কেউ সিম১১ ঘণ্টা আগে

রিয়াল ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছে ম্যাচের ১৬ মিনিটে। ভিনিসিয়ুসের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে দারুণ এক চিপে রিয়ালকে সমতায় ফেরান একাদশের হয়ে নামা এনদ্রিক। ডেভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলে ৭২ মিনিটে রিয়াল আবারও পিছিয়ে পড়ে ১-২ গোলে। ৮০ মিনিটে সেই পিছিয়ে পড়ার ব্যবধানই দাঁড়ায় ১-৩। জুড বেলিংহামের ৮২ মিনিটের গোল ও চার মিনিট পর অঁরেলিয়ে চুয়ামেনির গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। কিন্তু যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে মিকেল ওইরাজাবালের গোলে আবারও এগিয়ে যায় রিয়াল সোসিয়েদাদ। শেষ পর্যন্ত রুডিগারে রক্ষা।

সোসিয়েদাদ ম্যাচে একাধিকবার এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেনি

সম্পর্কিত নিবন্ধ