Samakal:
2025-03-28@21:33:54 GMT

শিরিনার আঙিনায় ‘সোনার হাঁস’

Published: 15th, February 2025 GMT

শিরিনার আঙিনায় ‘সোনার হাঁস’

বাড়ির এক কোণে পুকুর। উঠান থেকে পুকুরের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত জালের ঘেরা। দু’ভাগে বিভক্ত ঘেরার একপাশে ফাওমি জাতের মুরগি, অন্য পাশে রয়েছে পিকিং জাতের হাঁস। গ্রাম্য সড়ক ধরে হেঁটে গেলে ওই বাড়ি থেকে হাঁস-মুরগির ডাক কানে আসে। গৃহবধূ শিরিনা আক্তার ও তার স্বামী সারোয়ার মিয়া মিলে বাড়তেই খামারটি গড়ে তুলেছেন। সীতাকুণ্ডে প্রথম পিকিং জাতের হাঁস পালন করেছেন তারাই। তাতে ঘুরে গেছে ভাগ্যের চাকা। 
শিরিনা আক্তারের বাড়ি মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমতনগর গ্রামে। স্বামী সারোয়ার মিয়া ট্রান্সপোর্টের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। শিরিনা আক্তার এনজিও সংস্থা ইপসার সদস্য তিনি। তাদের দু’জনের পাশাপাশি খামারটি দেখাশোনা করেন নাজিম খান নামে তাদের এক ভাগনে।
সরেজমিন দেখা যায়, গ্রাম্য সড়কের পাশেই শিরিনা আক্তারের বাড়ি। সড়কের পাশে টিনের বেড়া। মূল সড়ক থেকে বাড়িতে ঢুকতেই উঠোন। ঘরে যাওয়ার পথ বাদে উঠোনের বাকি অংশের চারপাশ ও ওপরের অংশ জাল দিয়ে ঘেরা। বসতঘরের সামনেই তৈরি করা হয়েছে মুরগি রাখার শেড। জালের ভেতর অবিরত ডেকে চলেছে ফাওমি জাতের অন্তত তিন শতাধিক মুরগি। পুকুরে সাঁতার কাটছিল ৯২টি সাদা রঙের পিকিং জাতের হাঁস। পাড় থেকে পুকুরের দিকে তৈরি করা হয়েছে হাঁসের বাসা।
সারোয়ার মিয়া জানান, চার মাস আগে ইপসার এক কর্মকর্তা বাড়ির ভেতরের জায়গা দেখে তাকে হাঁস-মুরগির খামার করার পরামর্শ দেন। ওই কর্মকর্তার কথা তার ভালো লাগে। পরে তিনি ইপসার সহযোগিতা চান।
সারোয়ার বলেন, ‘শুরুতে আমাদের ৫০টি পিকিং জাতের হাঁস দিয়ে সহযোগিতা করে ইপসা। পাশাপাশি ৮০ টাকা করে আরও ৫০টি এক দিনের পিকিং জাতের হাঁসের বাচ্চা কিনে নিই। প্রথমে ১০০টি পিকিং জাতের হাঁস ও ৩০০টি ফাওমি জাতের মুরগির বাচ্চা দিয়ে তাদের খামার শুরু করি। এখন পর্যন্ত ছয় লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। ইতোমধ্যে হাঁস থেকে প্রতিদিন ৪০-৫০টি ডিম পাই। খামার বাড়ানোর জন্য আপাতত আমরা ডিম বিক্রি করছি না। নতুন ইনকিউবেটর কিনেছি। সেখান থেকে বাচ্চা ফুটানো হবে। ফাওমি মুরগির বয়সও ১০০ দিন হয়েছে। আরও বড় হলে মোরগ বিক্রি শুরু করব।’
সারোয়ার মিয়া ও শিরিনা আক্তার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জেলা হাঁস-মুরগি খামারের পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন ইমনের কাছে। সাখাওয়াত বলেন, ‘কয়েক মাস আগে সারোয়ার মিয়া দম্পতি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এরপর তারা খামার গড়ে তুলেছেন। ওই খামারটি আমি পরিদর্শন করেছি। প্রশিক্ষণের নির্দেশনা মোতাবেক তারা খামার করে সফল হয়েছেন।’
ইপসার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘পিকিং হাঁস দ্রুত বাড়ে। ফলে দ্রুত মাংস ও ডিম পাওয়া যায়। একটি পিকিং হাঁস ওজন ৩-৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিটি হাঁস বছরে প্রায় ১৭০ থেকে ১৮০টি ডিম দিয়ে থাকে। মাংস খেতে বেশ সুসাদু, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও নরম। সব বয়সের মানুষ পিকিং হাঁসের মাংস খেতে পারে।’ 
সাবেক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাহামিনা আরজু বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে হাঁস চাষের জন্য সীতাকুণ্ড উপযুক্ত নয়। কারণ হাঁস প্রচুর খাবার খায়। সেটা প্রাকৃতিকভাবে না পাওয়া গেলে বাণিজ্যিক খাবার দিয়ে খামারিরা লাভবান হতে পারবেন না। তবে এ হাঁসের রোগবালাই তেমন নেই। ফাওমি জাতের মুরগিরও রোগবালাই কম।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইফতার কিনে বাড়ি ফেরা হলো না মইদুলের

ইফতার কিনে বাড়ি ফেরার পথে নাটোরের লালপুরে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মইদুল ইসলাম (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লালপুর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক সড়কের চামটিয়া মসজিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত মইদুল ইসলাম চামসটিয়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।

প্রত্যাক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মইদুল ইসলাম ঈশ্বরদী থেকে ইফতার কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় চামটিয়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ঈশ্বরদীগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইদুল নিহত হন। মোটরসাইকেলে থাকা অপর এক আরোহী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

পরে খবর পেয়ে লালপুর থানার পুলিশ এসে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ও নিহত মাইদুলের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে লালপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ওসি পরে কল করতে বলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ