চট্টগ্রামের সিআরবিতে ‘প্রমা আবৃত্তি সংগঠনে’র বসন্তবরণ উৎসবের মাঝপথে অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। শনিবার দুপুরে ‘অনিবার্য কারণবশত’ উৎসবের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষে অনুমতি বাতিলের কথা আয়োজকদের জানায় রেলওয়ে। এতে দিনের বাকি আয়োজন সম্পন্ন করতে পারেননি আয়োজকরা।

জানা গেছে, আজ সকাল ৯টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান চলে। তবে দুপুরের পর দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রধান অতিথি আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক ব্যক্তি সমস্যার কথা বলে অনুষ্ঠানে আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারপরই হঠাৎ করে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান। তখন রেলওয়ে থেকে অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে বলে আয়োজক প্রতিষ্ঠান আবৃত্তি সংগঠন ‘প্রমা’কে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বসন্তবরণ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

প্রমা’র সভাপতি আবৃতিকার রাশেদ হাসান বলেন, ‘রেলওয়ের অনুমতি নিয়েই আমরা বসন্তবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রথম পর্ব সুন্দরভাবেই হয়েছে। দুপুরের পর দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান রেলওয়ে থেকে অনুমতি বাতিল করায় আর করতে পারিনি। অতীতে কখনও এ রকম অবস্থার মুখোমুখি আমাদের হতে হয়নি।’

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো.

সুবক্তগীনের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি। 

প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (পূর্ব) মাহবুবুল করিম বলেন, ‘প্রমার অনুষ্ঠানের বিষয়ে আমার জানা নেই। ভূ-সম্পত্তি বিভাগ থেকে এ ধরনের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।’ 

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, এ অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা ফোর্স আয়োজকদের পক্ষ থেকে চাওয়া হয়নি। মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছিল। যতটুকু জেনেছি, অনুমতি না থাকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়।
 
প্রতিবছরের মতো এবারও আবৃত্তি সংগঠন প্রমা’র আয়োজনে নগরের সিআরবির শিরীষতলায় সকাল থেকে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে। পরে বিকেল ৩টা থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরুর কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ২টার দিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসে জানায়, অনিবার্যকারণ বশত অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। পরে সংগঠনের সদস্যরা স্পন্সর প্রতিষ্ঠান নিপ্পন পেইন্ট চলে যায়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বসন তবরণ অন ষ ঠ ন শ অন ষ ঠ ন র বসন তবরণ ব ত ল কর র লওয় স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন

চৈত্রের শেষ বিকেল। সূর্যটা হেলে পড়েছে পশ্চিম আকাশে। ফিকে হতে শুরু করেছে দিনের আলো। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের নীলাভ আকাশে তখন শত রঙিন ঘুড়ির মেলা। কোনোটা সাদা, কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি। রঙের বৈচিত্র্যের সঙ্গে সঙ্গে ঘুড়ির আকার ও নামেও আছে বৈচিত্র্য। শত শত নারী-পুরুষ, শিশুরা রঙিন ঘুড়ির নেশায় মত্ত।

ঘুড়ি নিয়ে কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা ওড়াতে ব্যস্ত। আবার কারও কারও ঘুড়ি না ওড়ায় হতাশ, তবে আকাশে ওড়াতে চেষ্টার শেষ নেই। অন্যদিকে চলছে মোরগ লড়াই, দড়ি টানাটানি খেলা। মাঠের একপাশে নাগরদোলায় চলছে উল্লাস। ছবি, সেলফি আর আড্ডায় খেলার মাঠটি যেন রঙে রঙিন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসবে রোববার বিকেলে এভাবেই মেতে উঠেছিলেন সবাই। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নন, সেই আনন্দে শরিক হয়েছিলেন খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আনন্দ আর প্রাণের এমন উচ্ছ্বাস যেন হারিয়ে যাওয়া এক গ্রামবাংলার চিত্র ফুটে ওঠে মাঠে। ক্লাস আর পরীক্ষার একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীরা এই দিনটিতে নিজেদের সংস্কৃতি ও শিকড়ের সঙ্গে মিশে যান।

চলছে মোড়ক লড়াই। রোববার বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাঙামাটিতে গুর্খা সম্মেলন ও গুণীজন সম্মাননা
  • আল-আকসা মসজিদে সাত শতাধিক ইসরায়েলির ‘তাণ্ডব’
  • ডিএনসিসির বৈশাখী মেলা: শহরের বুকে গ্রামীণ আবহ
  • বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বৈশাখী মেলা
  • আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়েই পথ চলতে হবে
  • জাতির আসল পরিচয় তার সংস্কৃতি
  • দেশজুড়ে মেলার উৎসব-উদ্দীপনা
  • সংগীতের আবহে উৎসব
  • চৈত্র সংক্রান্তিতে বেরোবিতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজিত
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন