সিটির হয়ে হ্যাটট্রিকে আগমনী বার্তা দিলেন আরেক ‘মিসরীয় রাজা’
Published: 15th, February 2025 GMT
প্রিমিয়ার লিগে মিসরীয় রাজা বলতে সবাই এত দিন মোহাম্মদ সালাহকেই বুঝতেন। গত প্রায় এক দশকজুড়ে লিভারপুলের হয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন সালাহ। শুধু লিভারপুল নয়, সালাহ নিজেকে সময়ের সেরা তারকাদের একজন হিসেবে চিনিয়েছেন। সেই সালাহর এখন লিভারপুল ছাড়ার জোর গুঞ্জন।
চুক্তির মেয়াদ না বাড়লে এ মৌসুমেই হয়তো ইংলিশ ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দেবেন এই উইঙ্গার। কিন্তু সালাহর লিভারপুল ছাড়ার আগেই বুঝি আরেক মিসরীয় তারকার আবির্ভাব হলো ইংল্যান্ডে! তাঁর নাম ওমর মারমুশ।
শীতকালীন দলবদলে ৫ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ডে এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে আসা এই মিসরীয় ফরোয়ার্ড জাত চেনালেন নিজের তৃতীয় ম্যাচেই। আজ শনিবার নিউক্যাসলের বিপক্ষে মাত্র ১৩ মিনিটে পূরণ করেছেন নিজের প্রথম প্রিমিয়ার লিগ হ্যাটট্রিক। ম্যাচের ১৯, ২৪ ও ৩৩ মিনিটে গোল তিনটি করেছেন মারমুশ।
আরও পড়ুনদলবদলে লা লিগা–বুন্দেসলিগা–সৌদি প্রো লিগের চেয়েও বেশি খরচ করেছে ম্যান সিটি ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫১৯ মিনিটে মারমুশের প্রথম গোলে অ্যাসিস্ট করে এদিন মাইলফলকে নাম লিখেছেন সিটি গোলরক্ষক এদেরসনও। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে এখন সবচেয়ে বেশি গোলে সহায়তা করা গোলরক্ষক এদেরসন। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৬ গোলে সহায়তা করেছেন তিনি। যেখানে শুধু এই মৌসুমেই তাঁর অ্যাসিস্ট ৩টি।
এরপর তাঁর গোলটিতে সহায়তা করেছেন ইলকায় গুন্দোয়ান এবং পরের গোলটি এসেছে সাভিনিওর দারুণ এক অ্যাসিস্টে। মারমুশের মাস্টারক্লাস পারফরম্যান্সে এদিন প্রথমার্ধেই সিটি লিড নেয় ৪-০ ব্যবধানে। বিরতির পর ৮৪ মিনিটে সিটির হয়ে চতুর্থ ও ম্যাচের শেষ গোলটি করেন জেমস ম্যাকাটি।
সিটিকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন মারমুশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘চোখের সামনে আমার স্বামীর হেডের মইধ্যে ছুরি ঢুকাই দিছে’
চোখের সামনে আমার স্বামীর হেডের মইধ্যে ছুরি ঢুকাই দিছে গো। স্বামী আমার মুরগার মতো ধড়ফড় করতে করতে মরি গেছে। আমি এখন দুই মাইয়্যা লইয়া কই যামু। কে আঁর মাইয়্যাগোরে দেখি রাইখব’।
স্বামী রাকিব উদ্দিনের (৩২) জন্য বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষ্মীদিয়া কাজিরবাজার এলাকার গৃহবধূ তাজমা বেগম। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ছুরিকাঘাতে নিহত হন রাকিব। তাঁর ছোট ভাই সাকিব হোসেনের (২৩) বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। সাকিব হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
নিহত রাকিব উদ্দিনের স্ত্রী তাজমা বেগম বলেন, তাঁর দেবর সাকিব উদ্দিন গতকাল উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের আলাদিগ্রাম থেকে বিয়ে করেন। সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি মসজিদে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সেখানে তাঁর স্বামী রাকিবও ছিলেন।
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পর রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে তাঁর স্বামীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন সাকিব। এ সময় ঘটনাস্থলেই রাকিব উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
তাজমা বেগম আরও বলেন, সাকিব আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন। পরে স্ত্রীদের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। এসব বিয়ের কথা গোপন রেখে গতকাল চতুর্থ বিয়ে করেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ি ফেরার পর ভাইকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁর স্বামী রাকিব। এ সময় তর্কাতর্কির মধ্যে রাকিব তাঁর ছোট ভাই সাকিবকে কয়েকটি চড়থাপ্পড় দেন ও তাঁর দিকে জুতা নিক্ষেপ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাকিব ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে তাঁর স্বামীর পেটে আঘাত করেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সাকিব হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।