আ.লীগের বিচারে হস্তক্ষেপ হলে প্রতিবাদ শুরু হবে: সারজিস
Published: 15th, February 2025 GMT
আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচারে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “যদি কেউ হস্তক্ষেপ করে, তাহলে জাতীয় নাগরিক কমিটি বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ শুরু হবে।”
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, “আমাদের দেশে একটা সমস্যা হচ্ছে, নেতারা খুব সহজেই খুনি হাসিনার মতো সেফ এক্সিট পেয়ে যায়। এই গণঅভ্যুত্থানে যারা আন্দোলনে ছিল, তাদের কিন্তু এই খুনি হাসিনা ও তার দোসররা ছাড়বে না। তাই আমরা বিচারের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নেগোসিয়েশনের চিহ্ন দেখতে চাই না।”
আরো পড়ুন:
ব্যর্থ হলে জাতি ক্ষমা করবে না: আলী রীয়াজ
সরকারের পথচলায় বাধা সৃষ্টি করতে তারা ট্রাম্পের কাছেও গিয়েছিল: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, “যারা খুনি, যারা খুনিদের দোসর, তারা যে মত বা দলেরই হোক না কেন, তাদের বিচার হতে হবে।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা সরকারকে আইনি উদ্যোগ নিতে বলেছি। যাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয় এবং ভবিষ্যতে কোনো প্রক্রিয়ায় যেন তারা রাজনৈতিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে। প্রথম ধাপে তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছি। এটি হবে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত।”
তিনি আরো বলেন, “৫ আগস্ট ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাংলাদেশের পরবর্তী রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ অপ্রাসঙ্গিক। আজ সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য হয়েছে যে, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ অপ্রাসঙ্গিক। ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল হারিয়ে গেছে, একইভাবে আওয়ামী লীগও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।”
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাছে নির্বাচনের প্রস্তাব গণসংহতি আন্দোলনের
অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। সেই প্রস্তাবে সংস্কার বাস্তবায়নে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন’–এর প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের কাছে এ প্রস্তাব জমা দেয় গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনিরুদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু ও দীপক রায়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণসংহতি আন্দোলন এ তথ্য জানিয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান বলেন, গণতান্ত্রিক বিনির্মাণের জন্য এ দেশের মানুষ অনেক দিন ধরে সংগ্রাম করছেন। মানুষের সংগ্রামে বারবারই একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় সংবিধানসহ রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন এবং সর্বশেষ গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এটা বাংলাদেশের মানুষের সামগ্রিক অভিপ্রায়ে পরিণত হয়েছে। জনগণের এই অভিপ্রায়কে স্বীকৃতি দিতেই আগামী সংসদ নির্বাচনকে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন’ হিসেবে চায় গণসংহতি আন্দোলন।
জনগণের অভিপ্রায়ের প্রকাশ হিসেবে যখন সংবিধান সংস্কার করা হবে এবং গণভোটের মাধ্যমে তা গৃহীত হবে, তখন সেটা সংবিধানের মূল কাঠামো হবে বলেও উল্লেখ করেন আবুল হাসান। তিনি বলেন, যাকে রক্ষা করাই হবে সর্বোচ্চ আদালতের দায়িত্ব। এর ভেতর দিয়ে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি রচিত হবে।
আইন কমিশন গঠন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কীভাবে সমাজে গণতান্ত্রিক পরিসরের ক্ষতি না করে সামগ্রিক বিকাশের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়, এ বিষয়েও আইন প্রণয়ন করা, ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংস্কার করে একই পরিবারের একাধিক সদস্যদের বারবার ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সদস্য হওয়ার যে আইন, তা বদলের প্রস্তাবও দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।