বান্দরবানের থানচি উপজেলার বাকলাই পাড়ার গ্রাম ছাড়া ২৮টি পরিবারের মধ্যে ১৫টি পরিবারের ৮১ জন সদস্য দীর্ঘ ২৩ মাস পর গতকাল শুক্রবার সেনা সহায়তায় নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন। সফল যৌথ অভিযানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি যথেষ্ট স্বাভাবিক হওয়ায় এলাকাবাসী নিজ পাড়ায় ফেরত আসতে শুরু করেছেন।

ইতিপূর্বে, বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকায় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (বম পার্টি) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সশস্ত্র তৎপরতায় ২০২২ সালের মাঝামাঝি খেকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন অধিকাংশ অধিবাসী। কুকি চীন সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অন্যায় দাবি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে শিশুসহ পরিবার–পরিজন নিয়ে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এত দিন এসব পরিবারের সদস্যরা দুর্গম পাহাড় ও জঙ্গলে ক্ষুধা ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন।

স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালনা করে সেনাবাহিনী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান তিনি।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব লিখেছেন, “নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে। ফাইবার অ্যাট হোমের ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছেন যে- আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন বা ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য হ্রাস করবেন তারা। ”

এর আগে আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঁচ এমবিপিএসের পরিবর্তে ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।  

তারও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি সকল আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে।  

এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি আছে শুধু মোবাইলসেবা দাতা ৩টি বেসরকারি কোম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা। এরইমধ্যে সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার সুবিধা দিয়েছে। 

তিনি আরো লিখেছেন, “এমতাবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না।  সরকার মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হওয়ার পালা।” 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানিয়েছেন, মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও সামান্য কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করি।  

ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সরকারি মোবাইল সেবা দাতা কোম্পানি টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকার আশা করে অতি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য পতনের ঘোষণা দেবে।  

সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্য ছাড় আশা করে- প্রথমত, মার্চ মাসে এসআরও অ্যাডজাস্টমেন্ট বাবদ মোবাইল কোম্পানিগুলো যে মূল্য বাড়িয়েছিল সেটা কমাবে। (সরকার শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে তা থেকে সরে এসেছে, কিন্তু সেই মতে বর্ধিত মূল্য কমায়নি মোবাইল কোম্পানিগুলো। )

দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক গেটওয়ে/আইটিসি, আইআইজি এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমাবে। বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মানে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এমতাবস্থায় গ্রাহকস্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম
  • ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট
  • ১৭ মে আইএসপিএবি নির্বাচন, ১৩ পদে লড়ছেন ২৪ প্রার্থী