বান্দরবানের থানচি উপজেলার বাকলাই পাড়ার গ্রাম ছাড়া ২৮টি পরিবারের মধ্যে ১৫টি পরিবারের ৮১ জন সদস্য দীর্ঘ ২৩ মাস পর গতকাল শুক্রবার সেনা সহায়তায় নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন। সফল যৌথ অভিযানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি যথেষ্ট স্বাভাবিক হওয়ায় এলাকাবাসী নিজ পাড়ায় ফেরত আসতে শুরু করেছেন।

ইতিপূর্বে, বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকায় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (বম পার্টি) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সশস্ত্র তৎপরতায় ২০২২ সালের মাঝামাঝি খেকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন অধিকাংশ অধিবাসী। কুকি চীন সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অন্যায় দাবি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে শিশুসহ পরিবার–পরিজন নিয়ে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এত দিন এসব পরিবারের সদস্যরা দুর্গম পাহাড় ও জঙ্গলে ক্ষুধা ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন।

স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালনা করে সেনাবাহিনী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)  এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল পাইলট সাবাহ জাবের আল আহমেদ আলসাবাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. আব্দুল্লাহ মেশাল মোবারক আব্দুল্লাহ এ. আলসাবাহ ও কুয়েত ন্যাশনাল গার্ডের সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার হাসেম আব্দুল রাজ্জাক আল-রিফাইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান কুয়েতে বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টস (বিএমসি) সদর দপ্তর পরিদর্শনসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। তিনি বাংলাদেশি মিলিটারি কন্টিনজেন্টের অফিসার এবং অন্য পদবির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে অফিসার্স অ্যাড্রেস এবং দরবার নেন। এছাড়াও সেনাবাহিনী প্রধান সফরকালীন সময়ে কুয়েত আর্মড ফোর্সেস স্টাফ কলেজ পরিদর্শন করেন।

সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফরের মধ্য দিয়ে কুয়েতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিয়োগ এবং অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে (ওকেপি) নিয়োজিত বাংলাদেশি সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ ও কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।

এর আগে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফের আমন্ত্রণে প্রতিনিধি দলটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুয়েত সফরে গমন করেছিলেন।

উল্লেখ্য, কুয়েতের আমির উপসাগরীয় যুদ্ধে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং পরে অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে আইএসপিআরের বিবৃতি
  • মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে যা জানাল আইএসপিআর
  • কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান