চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কী দেখাবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী
Published: 15th, February 2025 GMT
আগামী বুধবার শুরু আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তান খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ম্যাচটির আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দর্শকদের মন জুড়াতে ব্যতিক্রমী কিছু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রেখেছে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী (পিএএফ)।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে ইনসাইড স্পোর্ট জানিয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট একটা সময় রাখা হয়েছে পিএএফের জন্য। পিএএফের বিখ্যাত ‘শেরদিল অ্যারোবেটিকস’ দল তো থাকবেই, জেএফ-১৭ থান্ডার এবং এফ-১৬ ফাইটার জেটসহ স্পেশাল কিছু যুদ্ধবিমানও আকাশে কসরত দেখাবে। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে নানা প্রদর্শনীতে অংশ নেয় পাকিস্তান বিমানবাহিনী। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনীতে তেমনি ভিন্ন কিছু দেখাতে চায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। ইনসাইড স্পোর্টের প্রতিবেদনে এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা না হলেও বলা হয়েছে, পাকিস্তান বিমানবাহিনীর তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রদর্শনীই করবে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি উপলক্ষে নতুন সাজে সেজেছে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়াম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গোল যত হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে
রিয়াল ৪-৪ সোসিয়েদাদ
(দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে রিয়াল জয়ী)
রাফায়েল নাদালকে দেখা যাচ্ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর গ্যালারিতে। গালে হাত দিয়ে চিন্তা ক্লিষ্ট মুখে বসে ছিলেন। মাঠে তাঁর প্রাণের দল রিয়াল মাদ্রিদ। কোপা দেল রে ফাইনালে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে নাদালের মতো দুশ্চিন্তায় ছিলেন রিয়ালের আরও অনেক সমর্থক। ১১৫ মিনিটে মাথার এক টোকায় সব দুশ্চিন্তা দূর করলেন আন্তনিও রুডিগার।
আরদা গুলেরের নেওয়া কর্নার থেকে হেডে গোল করেন রিয়াল ডিফেন্ডার। সেমিফাইনাল ফিরতি লেগের ম্যাচে তখন ৪-৪ গোলের সমতা আর দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। তখন নাদালের উল্লাস দেখে কে! বার্নাব্যু গর্জে ওঠার সঙ্গে নাদালও আসন ছেড়ে লাফিয়ে উঠলেন। হাত-পা ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করে মুখের ভঙ্গিটা এমন করলেন যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছুটল!
তা নয় তো কি? গত ফেব্রুয়ারিতে সান সেবাস্তিয়ানে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে প্রথম লেগ ১-০ গোলে রিয়াল জেতার পর তাদের ঘরের মাঠে ফিরতি লেগ আরও সহজ হবে ভেবে নেওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু গতকাল রাতে ফিরতি লেগের স্কোরকার্ডে লেখা হয়েছে অন্য গল্প। যেখানে ৮ গোলের রোমাঞ্চের মধ্যে আছে রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পও। ফিরতি লেগে তিনবার পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের জয়ে নিশ্চিত হয়েছে ফাইনাল। আর এতেই আরও একবার প্রমাণ হলো, ম্যাচে গোল যতই হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে!
আরও পড়ুনম্যাচসেরার পুরস্কার কেউ পান ডিম, কেউ সিম১১ ঘণ্টা আগেরিয়াল ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছে ম্যাচের ১৬ মিনিটে। ভিনিসিয়ুসের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে দারুণ এক চিপে রিয়ালকে সমতায় ফেরান একাদশের হয়ে নামা এনদ্রিক। ডেভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলে ৭২ মিনিটে রিয়াল আবারও পিছিয়ে পড়ে ১-২ গোলে। ৮০ মিনিটে সেই পিছিয়ে পড়ার ব্যবধানই দাঁড়ায় ১-৩। জুড বেলিংহামের ৮২ মিনিটের গোল ও চার মিনিট পর অঁরেলিয়ে চুয়ামেনির গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। কিন্তু যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে মিকেল ওইরাজাবালের গোলে আবারও এগিয়ে যায় রিয়াল সোসিয়েদাদ। শেষ পর্যন্ত রুডিগারে রক্ষা।
সোসিয়েদাদ ম্যাচে একাধিকবার এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেনি