ময়মনসিংহে আজহারীর মাহফিলে মুঠোফোন হারানোর ঘটনায় থানায় ২০০ জিডি
Published: 15th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহে আলোচিত ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে মুঠোফোন চুরি ও হারানোর ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করছেন ভুক্তভোগী লোকজন। শনিবার রাত নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় অন্তত ২০০টি জিডি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় বিশাল ওয়াজ মাহফিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়ায় কিছু মুঠোফোন চুরি ও হারানোর ঘটনা ঘটেছে। আজ রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় অন্তত ২০০ জিডি করা হয়েছে। মুঠোফোনগুলো উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, আজ নগরের সার্কিট হাউস মাঠে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে আল ইসলাম ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠন। মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে বেলা দুইটা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বক্তব্য দেন মিজানুর রহমান আজহারী। মাহফিল সফল করতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ইসলামি দল, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর ছিল। মাহফিলের জন্য দুই লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেল ছাড়াও ১৬ একর সার্কিট হাউস মাঠ ও আশপাশের পার্ক ও সড়কে মানুষের ঢল নামে। এ ছাড়া জিলা স্কুল মাঠ, জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠ, উমেদ আলী মাঠেও ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে।
ওয়াজ মাহফিলের জন্য মাঠসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ২২টি এলইডি পর্দার ব্যবস্থা করা হয়। তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প, চার শতাধিক অজুখানা ও শৌচাগার এবং পর্যাপ্ত খাওয়ার পানির ব্যবস্থাও ছিল। প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ বিজিবি, বিপুলসংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও আনসার–ভিডিপির সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। মাহফিলে যোগ দিতে শুক্রবার রাত থেকেই আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন মাহফিলস্থলে আসতে থাকেন। মানুষের সমাগমের মধ্যে চোরচক্র মুঠোফোন চুরি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মাহফিলে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসায় এবং তাৎক্ষণিক কাগজপত্র জোগাড় না করতে পারায় কাল পর্যন্ত জিডির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, জিডিগুলো হচ্ছে মূলত মুঠোফোন হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
রামগতিতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোরে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ময়মনসিংহের নান্দাইলে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।
রামগতির ঘটনায় জানা গেছে, ওই গহবধূ সাহ্রির পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের পাশের টয়লেটে যান। আসার পথে দু’পাশ থেকে অপরিচিত দুই ব্যক্তি তাঁকে জাপটে ধরে পাশের নির্জন পুকুরপাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই নারী। জ্ঞান ফেরার পর চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাঁকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তাঁর বাড়ি সিলেট জেলায়। বছর দুয়েক আগে চরগাজী ইউনিয়নের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। এক সন্তানসহ ভালোভাবে সংসার চলছে। বিয়ের দুই মাস পর একদিন পাশের গ্রামে স্বামীর বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। সেখানে ননদের জামাই জামাল আহমেদ তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। পারিবারিকভাবে এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর কয়েক মাস পর বাড়িতে এসে তাঁকে ধর্ষণ করে চলে যায় প্রভাবশালী জামাল। এ ঘটনার বিচার দাবি করলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সালিশ বৈঠক হতে দেয়নি ধর্ষক।
ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা একাধিক নারী জানান, গৃহবধূর চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে আসি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। রামগতি থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ করেছেন। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে ময়মনসিংহের নান্দাইলের রাজগাতী ইউনিয়নে গত শুক্রবার ধর্ষণের শিকার শিশুটি হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বড়াইল গ্রামে তারাবির নামাজ পড়তে গেলে স্থানীয় ফারুক মিয়ার ছেলে আরিয়ান আহমেদ শাওন শিশুটিকে ধর্ষণ করে। গুরুতর অবস্থায় এখন সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার নান্দাইল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন শাওনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।