প্রথম একসঙ্গে তিশা-প্রীতম, কৌতূহল বাড়াল ফার্স্টলুক
Published: 15th, February 2025 GMT
ভালোবাসায় মোড়ান এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। মুক্তির আগে কিছু ধারণা পাওয়া গেলো এর ট্রেলার থেকে। যেখানে উঠে এসেছে চরিত্রদের বিভিন্ন মুহূর্ত ও অনুভূতি। শনিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’র ফার্স্টলুক ও ট্রেলার উন্মোচন করা হয়।
জাহিদ প্রীতমের পরিচালনায় এ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন সংগীতশিল্পী-অভিনেতা প্রীতম হাসান, অভিনেত্রী তানজিন তিশা ও আরেক সংগীতশিল্পী-অভিনেত্রী পারশা মাহজাবীন।
ট্রেলার দেখে ধারণা করা যায়, তাদের চরিত্রগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পারশাকে দেখা গেছে চিকিৎসকের অ্যাপ্রোনে। বিভিন্ন মুহূর্তে চরিত্রগুলোর আবেগ–উদ্বিগ্নতা কৌতূহলী করে তুলেছে দর্শকদের।
প্রীতম হাসান বলেন, ‘কাজটা করব কিনা, প্রথম দিকে এটাই ভাবছিলাম। এত ইমশোনাল স্ক্রিপ্টে চরিত্রটা হয়ে উঠতে পারব কিনা, সেটাই চ্যালেঞ্জ ছিল। পরে আমি পরিচালকের সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমার চরিত্রকে একভাবে দেখছিলেন, আমি দেখছিলাম ভিন্নভাবে। আলোচনার পর আমরা একটা কমন পয়েন্টে আসতে পারি এবং কাজটিতে যুক্ত হই। ম্যাজিক্যাল অনেক মুহূর্ত আছে পুরো গল্পটিতেই।’
’ঘুমপরী’র মাধ্যমে চরকি ও প্রীতম হাসানের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করলের তানজিন তিশা। যদিও নির্মাতা জাহিদ প্রীতমের সঙ্গেও বেশ কিছু কাজ করেছেন অভিনেত্রী, যা পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা।
তানজিন তিশা বলেন, “জাহিদ প্রীতম ভাই যখন গল্প বলেছিলেন, তখনই আমার ভালো লেগে যায়। আমি অনেক রকমের কাজ করেছি, এখন আমার এমন কাজ লাগবে, যা একটু আলাদা। ’ঘুমপরী’ তেমনই একটা গল্প। তাছাড়া চরকির সঙ্গে এমন একটা কাজ দিয়ে আমার শুরু হতে পারে বলে মনে হয়েছে। আমি তো পারফরমেন্সের জায়গা খুঁজি, এখানে সেটা পেয়েছি। কনসেপ্টটা খুব ভালো লেগেছে। দর্শকরা দেখলেই বুঝতে পারবেন।”
পারশা মাহজাবীন জানালেন, “ঘুমপরী’ তার পছন্দের জনরার গল্প। তাই বেশি ভাবতে হয়নি। স্ক্রিপ্টটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভালো লেগে যায়। তিনি বলেন, ’ভ্যালেন্টাইনে সাধারণত এমন কাজ চোখে পড়ে না। এখানে কাজ করাটা আমার জন্য কঠিনই ছিল বলতে হবে, কারণ আমার দুই ধরনের চরিত্র করতে হয়েছে। ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
ফাগুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি চকিতে আসছে ’ঘুমপরী’।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএনসিসির ‘ঈদ আনন্দ উৎসব’, থাকছে ঈদের জামাত, আনন্দমিছিল, মেলা ও অনুষ্ঠান
নগরবাসীর মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ঈদের জামাতসহ এ উৎসব আয়োজনে থাকছে ঈদ আনন্দমিছিল, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের জন্য রয়েছে আপ্যায়নের ব্যবস্থাও। এ আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটির ব্যয় হচ্ছে প্রায় দুই কোটি টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের জামাত হবে। জামাত শেষে মাঠ থেকেই শুরু হবে ঈদ আনন্দমিছিল। মিছিলটি আগারগাঁওয়ের প্রধান সড়ক হয়ে খামারবাড়ি মোড় দিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে শেষ হবে। সেখানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে সেমাই ও মিষ্টির ব্যবস্থা।
এ ছাড়া আনন্দ উৎসবের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী ঈদ আনন্দমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ঈদের দিন এবং পরদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলায় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ১০০টি স্টলের পাশাপাশি শিশুদের জন্য নাগরদোলা ও অন্য খেলার সরঞ্জাম থাকবে।
ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
ঈদুল ফিতরের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজের জামাতে মূল ইমামতি করবেন কারি গোলাম মোস্তফা। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুফতি জুবাইর আহাম্মদ আল-আযহারী।
ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। প্যান্ডেলের বাইরেও নামাজ আদায়ের জন্য থাকবে কার্পেট ও নামাজের বিছানা। সব মিলিয়ে ঈদের দিন ওই মাঠে একসঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। প্যান্ডেলের ভেতরে দক্ষিণ পাশের একটি সারির বেশির ভাগ জায়গা বরাদ্দ রাখা হবে নারীদের নামাজের জন্য।
মাঠে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন অংশে ছয়টি ফটক থাকবে। ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশের সদস্যরা। প্যান্ডেলের দুই পাশে একসঙ্গে ১০০ জন পুরুষ ও ৫০ জন নারীর অজু করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাঠের বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার পানির ট্যাংক রাখা থাকবে। ঈদের জামাতের জন্য মোট ১২ পেয়ার সাউন্ড সিস্টেম ও ১০০টি মাইক ব্যবহার করা হবে। জামাতে অংশ নিতে যাঁরা ব্যক্তিগত যানবাহনে আসবেন, তাঁদের গাড়ি রাখা যাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কিংবা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে।
ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। ২৯ মার্চ