কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত এবং দুই যুবক আহত হয়েছে। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কিশোরগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের বাহাদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফনানুল ইসলাম ফাহাদ (২৪) পাকুন্দিয়া উপজেলার বাহাদিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে। আহতরা হলেন, নাইম (১৮) এবং শাকিল (১৮)।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, পাকুন্দিয়া বাজার থেকে একটি মোটরসাইকেলে চড়ে তিন বন্ধু বাহাদিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বাহাদিয়া পাঠানবাড়ির কাছে পৌঁছলে বিপরীতদিক থেকে আসা অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে ফাহাদ মারা যায়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় নাইম এবং শাকিলকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে অটোবাইকে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

জন সচেতনতা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব নয়: ইলিয়াস কাঞ্চন

ওসি জানান, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ঢাকা/রুমন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

আহসান মনসুরের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে মনে করেন ব্রিটিশ এমপিরা

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে মনে করেন ব্রিটিশ এমপি বা সংসদ সদস্যরা। তাঁরা মনে করছেন, আহসান এইচ মনসুর যেহেতু বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে অপতথ্য দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের কাছে পাঠানো এক ই–মেইলে গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের মেয়ের বিলাসী জীবন সম্পর্কে তথ্য দিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হচ্ছে না? এক সাংবাদিক এই ই–মেইল পাঠিয়েছেন বলে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের সংবাদে বলা হয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর বর্তমানে লন্ডন সফরে রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা চাইতে তিনি এই সফর করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এই অর্থ যুক্তরাজ্যে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ। গভর্নরের বিশ্বাস, ওই অর্থ দিয়ে যুক্তরাজ্যে সম্পদ কেনা হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ানের সংবাদে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে আহসান মনসুরের যুক্তরাজ্য সফর শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকীর পদত্যাগ নিয়ে সৃষ্ট শোরগোলের কারণে ঢাকা পড়ে গেছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মামলা করার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

এখন আহসান মনসুরের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা মনে করছেন। সম্প্রতি দেশটির ৪৭–দলীয় শক্তিশালী অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) আহসান মনসুরের বিষয়ে ই–মেইল পেয়েছে। সেদিনই আহসান মনসুরের সঙ্গে তাদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।

ই–মেইলটি পাঠিয়েছেন এক সাংবাদিক। ই–মেইলটির সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টের একটি লিংক পাঠানো হয়েছে। সেখানে আহসান মনসুরের মেয়ের বিলাসী জীবন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সাংবাদিকের জিজ্ঞাসা, আহসান মনসুরের মেয়ের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হচ্ছে না?

কিন্তু দ্য গার্ডিয়ান সেই ই–মেইল প্রেরণকারীর সাংবাদিক হিসেবে আর কোনো প্রোফাইল খুঁজে পায়নি। যে ছবি ই–মেইলে ব্যবহার করা হয়েছে, তা–ও নকল বলে মনে হয়েছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আহসান মনসুর ও ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা মনে করেন, এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানোর সমন্বিত কৌশলের অংশ। গভর্নর বিশ্বাস করেন, যাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার তদন্ত হচ্ছে, সেই ব্যক্তিরাই তাঁর মানহানি করতে এই প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা বিভিন্নভাবে গভর্নরকে লক্ষ্যবস্ত করছে।

আহসান মনসুর আরও জানান, তাঁর কন্যা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক; বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর তেমন সম্পর্ক নেই।

এদিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি গ্রুপের আরেক সদস্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রূপা হককেও একই রকম চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠি দিয়েছে ব্রিটিশ জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান প্যালাটাইন কমিউনিকেশন। ই–মেইলে বলা হয়েছে, আহসান মনসুর টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলে তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধেও একই রকম তদন্ত হওয়া উচিত। যদিও গভর্নর বলেছেন, তিনি টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কখনো একটি কথাও বলেননি।

এ বিষয়ে প্যালাটাইন কমিউনিকেশনের বক্তব্য হলো, এই চিঠির সত্যাসত্য সম্পর্কে তাদের দাবি নেই। যা বলা হয়েছে তা ধ্রুব সত্য, এ রকম কথা তারা বলছে না। কিন্তু তারা মনে করে, আরও অনেক বিষয়ের মতো বাংলাদেশ সম্পর্কে এই বিষয়টিও রাজনীতিকদের মাথায় রাখা উচিত।

অন্যদিকে পলিসি ডাইজেস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গভর্নর আহসান মনসুরের মেয়ের বিলাসী জীবন নিয়ে যে প্রতিবেদন লেখা হয়েছে, তার লেখক নাম প্রকাশে রাজি নন। তিনি আরও বলেন, সেই লেখার বিষয়বস্তুর যে যথেষ্ট সত্যতা আছে, সে বিষয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ