তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে: আসাদুল হাবিব
Published: 15th, February 2025 GMT
বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, তিস্তার করালগ্রাসে মানুষ ঘরহীন হয়েছে। কিন্তু সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তিস্তার পানি চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। ভারতের আপত্তির কারণে চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এ অঞ্চলকে সমৃদ্ধিশালী করতে চাইলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য যৌথ নদী রক্ষা কমিশনের বৈঠকে তিস্তার পানির হিস্যা না পেলে সরকারকে আন্তর্জাতিক আইনের দ্বারস্থ হতে হবে।
১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই দিন তিস্তা নদীর তীরবর্তী স্থানে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। আজ শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর নর্থ ভিউ হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব।
আসাদুল হাবিব বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তাপারের ১১টি পয়েন্টে তাঁবু খাঁটিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ ১৪ নেতার বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদীর কাউনিয়া সেতু, মহিপুর সেতু এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টসহ লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারীর ১১ পয়েন্টে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক সামসুজ্জামান, সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী, জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিসুর রহমান, কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজ) সভাপতি সালেকুজ্জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুনতিস্তা নিয়ে বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব, ‘এখন আর আমরা ভারতের কথা শুনব না’১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত থেকে এলো সাড়ে ১১ হাজার টন চাল
উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-২) ভারত থেকে সাড়ে ১১ হাজার টন চাল নিয়ে এমভি ডিডিএস মারিনা নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আজ সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে।