বন্দরের উত্তরাঞ্চলে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি
Published: 15th, February 2025 GMT
বন্দরে উত্তরাঞ্চলে চোরের উপদ্রুব বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে একটি কোম্পানীর ৬০ লাখ টাকার মামলামাল চুরি হয়েছে। পবিত্র শব-ই-বরাত রজনীতে যখন মুসল্লীরা এবাদতে মসগুল আর এসুযোগে চোরের দল বন্দরের কেওঢালায় ভূইয়া টিম্বারের মালামাল খুলে চুরি করছিল।
এ সময় টহল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরেরা একটি ৫০ ঘোরা মটর ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ ফেলে যাওয়া মটর উদ্ধার করে মিল মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
মিল মালিক জানান, গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত এ মিল থেকে ৬০ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। একটি সঙ্ঘবদ্ধ চোরের দল মিলের মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কিছু চোরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দেয়া হয়েছে। চোর সিন্ডকেটের সদস্যরা হলো সাইফুল, রিপন, মোবারক, আবু তাহের, জামাল ও মোসলেউদ্দিন।
এ ব্যপারে ধামগড় ফাড়ি পুলিশে সহকারী দারোগা কামাল বলেন, আমরা টহল ডিউটি করার সময় কেওঢালা ভূইয়া টিম্বারের অভ্যন্তরে কিছু মালামাল খুলার আওয়াজ পেয়ে আমরা মিলে প্রবেশ করতেই কয়েকজন লোক মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়। তবে মিলটি বন্ধ ছিল।
চোরের দল মিল বন্ধ থাকার সুযোগে চুরি করতে মিলে প্রবেশ করেছে। তবে মিলের অনেক মামলামাল চুরি হয়েছে তা ভিতরে গিয়ে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। আমরা মিল থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের দেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি বিশাল আকৃতির মটর ফেলে যায়। আমরা মটরটি উদ্ধার করে মিল মালিক পক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবত একটি চক্র বিভিন্ন মিল কারখানায় চুরিসহ মহাসড়কে ছিনতাই করে বেড়ায়। এ জন্য নাগরিকের জানমালের রক্ষার্থে যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা জরুরী।#
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা পৌরকর আদায়
প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা পৌরকর আদায় করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মুনিরুজ্জামান চসিক মেয়রের কাছে ১০০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
চসিক সূত্রে জানা যায়, ডা. শাহাদাত হোসেন মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর বকেয়া পৌর কর পরিশোধের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হন মেয়র। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি চসিককে আপাতত ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশনা দিয়ে বন্দরের চেয়ারম্যানকে দাপ্তরিক পত্র দেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
আরো পড়ুন:
পরিবেশ উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিনে পর্যটননির্ভর বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
হিলি চেকপোস্ট পরিদর্শন করলেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার
চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ কখনোই পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়নের আলোকে চসিকের প্রস্তাবিত পৌরকরের পুরোটা পরিশোধ করেনি। সাবেক মেয়রদের অনেকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হন। কেউ অজ্ঞাত কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ছাড়ও দেন। অবশেষে ৩০ বছর পর বর্তমান মেয়রের উদ্যোগে চসিকের প্রস্তাবিত পৌরকরের প্রায় পুরোটাই পরিশোধ করল বন্দর কর্তৃপক্ষ। পৌরকর পাওয়ায় একদিকে চসিকের যেমন রাজস্ব বাড়ল, অন্যদিকে নিজস্ব ফান্ডের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি বাড়বে।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “স্বাধীনতার পর এই প্রথম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে বন্দর পুরো পৌরকর পরিশোধ করল। বন্দর থেকে বড় অঙ্কের পৌরকর আদায় হওয়ায় চসিকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি বাড়বে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা যে বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি দেই, সেটা আরো বাড়ানো যাবে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ