বন্দর যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র শবে বরাত পালন
Published: 15th, February 2025 GMT
বন্দর যথা যোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে পবিত্র শবে বরাত। মহান সৃষ্টিকর্তার রহমত লাভের আশায় বন্দরে বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রান মুসলমানরা তাদের নিজ নিজ মসজিদে ইবাদত বন্দেগী মাধ্যমে এ রাতটি পালন করেন।
সন্ধ্যা হওয়ার পর থেকেই বন্দরে বিশেষ করে কদম রসুল দরগা, বন্দর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বন্দর শাহী মসজিদ, সোনাকান্দা কেল্লা জামে মসজিদ ও ঘারমোড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার জামে মসজিদ গুলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
এ ছাড়াও কবর জিয়ারতের কথা চিন্তা করে উল্লেখিত এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার কবরস্থান গুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়।
উল্লেখ্য, হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমাম্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির আজগাসহ বিভিন্ন ইবাদতবন্দেগী করে থাকে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ কর্মকর্তা মামুন হত্যা: আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় দুবাইয়ে পলাতক আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন-আরাভ খানের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), মামুন ইমরানের বন্ধু রহমাত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১), সারোয়ার হোসেন (২৩)।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন। অপর ৬ আসামির মধ্যে রহমাত উল্লাহ, সারোয়ার হোসেন জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। অপর চার আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে ৬ আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আরাভ খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এর আগে কয়েক দফা রায় পেছানো হয়। সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল রায় পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পরে তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রহমত উল্লাহ ও রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রবিউল ইসলামের (আরাভ খান) নেতৃত্বে বিত্তবানদের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করত একটি চক্র। তাদের লক্ষ্য ছিল রহমত উল্লাহকে আটকে ‘অশালীন’ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করা। সেজন্য ওই চক্র জন্মদিনের নাটক সাজিয়ে রহমতকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল বনানীর ওই বাসায়। বন্ধু রহমতের সঙ্গে সেখানে গিয়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।
ঢাকা/মামুন/ইভা