সরকারের পথচলায় বাধা সৃষ্টি করতে তারা ট্রাম্পের কাছেও গিয়েছিল: প্রধান উপদেষ্টা
Published: 15th, February 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়েছে। সরকারের এ পথচলায় বাধা সৃষ্টি করতে তারা ট্রাম্পের কাছেও গিয়েছিল। কিন্তু সুবিধা নিতে পারেনি।”
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, ১২ দলীয় জোট এবং গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় জাতিসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ড.
আরো পড়ুন:
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল
ট্রাম্পের বলপ্রয়োগের হুমকি ‘উদ্বেগজনক ও কাণ্ডজ্ঞানহীন’: ইরান
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জাতিসংঘের যে প্রতিবেদনটি এসেছে, তার মাধ্যমে পুরো বিশ্ব জানতে পেরেছে যে কেমন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন হাসিনা।”
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে, কমিশন ও সরকার সহযোগিতা দেবে।”
এছাড়া বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে উপস্থিত সবার উদ্দেশে তিনি বলেন, “প্রতিজ্ঞা করি আমরা যেন গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানাই। যে কারণে তারা আত্মত্যাগ করেছিল সেটা যেন পরবর্তী সব প্রজন্ম মনে রাখে, তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, তাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করার জন্য আমরা সবাই মিলে সবরকম চেষ্টা করব তাদের সে স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “তারা এ ত্যাগ না করলে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও জবাব খোঁজার আমাদের কোনো সুযোগ থাকতো না। প্রশ্ন আমাদের মনে যতটুকু ছিল, বহু বছর ধরে ছিল, সুযোগ পাইনি। অসংখ্য ছাত্র-জনতা আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা সুযোগ পেয়েছি।”
নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ঐকমত্যের বৈঠকে দেশের ২৬টি দল এবং জোটের ১০০ জনের মতো প্রতিনিধি অংশ নেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব সবার: মির্জা ফখরুল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব সবার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব লেখেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া একদিনে ঘটেনি। মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল অথবা আহত হয়েছিল এবং অসংখ্য মানুষ আমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। তাই আমরা এটি অর্জন করেছি। কৃতিত্ব সবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনার পতন একদিনে ঘটেনি। এর পেছনে অনেক বছরের ত্যাগ ও সংগ্রাম আছে। হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন, অপহৃত হয়েছেন মুক্তির জন্য। এর ফলস্বরূপ, ২০২৪ সালে ৫ আগস্টে হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিলেন।’
মির্জা ফখরুল লেখেন, ‘কৃতিত্ব সবার: ছাত্র, সাধারণ মানুষ, ডাক্তার, রিকশাচালক, বিক্রেতা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, পেশাদার, প্রবাসীরা, আমাদের বিদেশি বন্ধু, শিশু, প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এবং অবশ্যই রাজনীতিবিদরা।’
নিজের দলের ও নেতাকর্মীদের বিষয়ে ফখরুল লেখেন, ‘আমরা, বিএনপির নেতাকর্মীরা, সব সময় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ছিলাম এবং থাকব। চলুন, আমাদের এই ইতিহাস দৃঢ়তা, সততা এবং সত্যের সঙ্গে লিখি। এখন, আমাদের দেশের পুনর্গঠনের দিকে মনোনিবেশ করি। সবার আগে বাংলাদেশ! বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!’