প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়েছে। সরকারের এ পথচলায় বাধা সৃষ্টি করতে তারা ট্রাম্পের কাছেও গিয়েছিল। কিন্তু সুবিধা নিতে পারেনি।”

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, ১২ দলীয় জোট এবং গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় জাতিসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ড.

ইউনূস বলেন, “আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, তার সঙ্গে পুরো বিশ্ব এবং দেশের মানুষেরা আছেন। আজ একটি মহৎ উদ্যোগ শুরু হলো। আজকের দ্বিতীয় যাত্রার মধ্যদিয়ে আমরা কী রকমের বাংলাদেশ চাই তা নির্ধারিত হবে।”

আরো পড়ুন:

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল

ট্রাম্পের বলপ্রয়োগের হুমকি ‘উদ্বেগজনক ও কাণ্ডজ্ঞানহীন’: ইরান

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জাতিসংঘের যে প্রতিবেদনটি এসেছে, তার মাধ্যমে পুরো বিশ্ব জানতে পেরেছে যে কেমন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন হাসিনা।”

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে, কমিশন ও সরকার সহযোগিতা দেবে।”

এছাড়া বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে উপস্থিত সবার উদ্দেশে তিনি বলেন, “প্রতিজ্ঞা করি আমরা যেন গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানাই। যে কারণে তারা আত্মত্যাগ করেছিল সেটা যেন পরবর্তী সব প্রজন্ম মনে রাখে, তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, তাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করার জন্য আমরা সবাই মিলে সবরকম চেষ্টা করব তাদের সে স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “তারা এ ত্যাগ না করলে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও জবাব খোঁজার আমাদের কোনো সুযোগ থাকতো না। প্রশ্ন আমাদের মনে যতটুকু ছিল, বহু বছর ধরে ছিল, সুযোগ পাইনি। অসংখ্য ছাত্র-জনতা আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা সুযোগ পেয়েছি।”

নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ঐকমত্যের বৈঠকে দেশের ২৬টি দল এবং জোটের ১০০ জনের মতো প্রতিনিধি অংশ নেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্যাসিস্ট সরকার আর এক বছর থাকলে আমাকে ঝুলিয়ে দিত: বাবর

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার আরও এক বছর ক্ষমতায় থাকলে আমাকে ঝুলিয়ে দিত। 

শুক্রবার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। 

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অসাধারণ। তবে এখানে কারো একার কৃতিত্ব দেওয়া ঠিক হবে না। 

লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছে তাদের সুচিকিৎসা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। 

তিনি বলেন, সাড়ে ১৭ বছর কারাগারে থাকার পর যে আমি এখানে এসেছি তা কল্পনাও করতে পারি নি।

দীর্ঘ সময় কারাবাসের পর গত ১৬ জানুয়ারি মুক্তি পান লুৎফুজ্জামান বাবর। এর আগে ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে খালাস পান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সঙ্গে তথ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার পাওয়ায় জুলাইকন্যাদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
  • যুক্তরাষ্ট্রের ‌‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার পাওয়ায় জুলাই কন্যাদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
  • পুলিশ সংস্কার কি আদৌ হবে, কতটুকু হবে
  • বিরতির পর রেনেসাঁর নতুন গান
  • ‘ছাত্র-জনতার ভোটের অভ্যুত্থানে জুলুমবাজের দল পালিয়ে যাবে’
  • নির্বাচনের পরে সংস্কার হবে না: নাহিদ ইসলাম
  • ফ্যাসিস্ট সরকার আর এক বছর থাকলে আমাকে ঝুলিয়ে দিত: বাবর