মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) আগামী আসরের জন্য স্কোয়াড পুনর্গঠন করেছে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স। সেই তালিকায় বাদ পড়েছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথম আসরে দলটির হয়ে চার ম্যাচে ব্যাট হাতে ৬০ রান করার পাশাপাশি বল হাতে মাত্র একটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সন্তোষজনক পারফরম্যান্স করতে না পারায় এবার তাকে ছেড়ে দিয়েছে নাইট রাইডার্স।
শুধু সাকিবই নন, দলে বড় পরিবর্তন এনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার, ইংল্যান্ডের জেসন রয় ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পাকেও ছেড়ে দিয়েছে তারা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিন ও অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার স্পেন্সার জনসনকে দলে রেখে দিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস।
আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ছাত্র আন্দোলনের তোপে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর দেশের হয়ে শেষটা রাঙানোর সুযোগ পাননি সাকিব। একাধিক মামলা ও অর্থ জরিমানার কারণে দেশ থেকে দূরেই থাকতে হচ্ছে তাকে।
সাকিবের সঙ্গে টি-টেন লিগে কাজ করা ভিডিও বিশ্লেষক শেখ মহসিন জানিয়েছেন, ‘সাকিব এখন অবসর সময় কাটাচ্ছেন। আমার সঙ্গে শেষ আলাপে তিনি কোনো লিগে খেলার কথা বলেননি।’ ক্রিকেটের বাইরে এখন কখনো দুবাই, কখনো ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে সাকিবকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব