উত্ত্যক্তের শিকার নারী সমন্বয়ক, মামলা
Published: 15th, February 2025 GMT
টাঙ্গাইলে এক নারী সমন্বয়ককে উত্ত্যক্তের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে ভিক্টোরিয়া ফুডজোনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সঙ্গে ছিল তার দুই বোন। অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে দু’জন হলেন– অমিয় ও মুন্না। অন্য দু’জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মোটরসাইকেলের ওপর বসা দুই যুবক এক নারী সমন্বয়কের সঙ্গে তর্কাতর্কি করছে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায় অভিযুক্তরা।
ভুক্তভোগী জানান, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের থেকে অনুসরণ আসছিল চার ইভটিজার। ভিক্টোরিয়া ফুডজোনে আসার পর ইভটিজিং করে তারা। এ সময় বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। প্রতিবাদ করলে খারাপ আচরণ করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় তারা। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমন বয়ক
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব