খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বৃহত্তর আমলাপাড়াবাসীর দোয়া ও খাবার বিতরণ
Published: 15th, February 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে দোয়া-মাহফিল ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বাদ জুম্মা আমলাপাড়া চৌড়াস্তায় এই দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহত্তর আমলাপাড়াবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলের পূর্বে বক্তারা বলেন, তারা ভেবেছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করলেই বাংলাদেশের মানুষ স্তব্ধ হয়ে যাবে। সেটা কোনোদিন সম্ভব হবে না, হতে দেবো না।
আমরা খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করি। তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) যেনো অচিরেই পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে এসে দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন, সেই প্রত্যাশা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজী নাহিসুল ইসলাম সাদ্দাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আকিব কায়সার, মহানগর সাইবার ইউজার দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জুয়েল চৌধুরী, সদর থানা মৎসজীবি দলের সদস্য মোঃ সাইদুর রহমান, সদর থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শান্ত, ১৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইভান, ১৩নং ওয়ার্ড সাইবার ইউজার দলের সভাপতি রিফাত চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি রাহিম চৌধুরী, সদর থানা ছাত্রদল নেতা অনি মির্জা, সিফাত, শুভ, রাফি, সুন্দর, রাইয়ান, রিয়ন চৌধুরী, জিসান, সিমান্ত, হিমু সহ আমলাপাড়া এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কর্মসূচীর সার্বিক তত্বাবধায়নে ছিলেন ১৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি রাহিদ রায়হান শরীফ জিসান, হাসিব আহমেদ আদর, মাহাদী মিম, মোস্তবা আলী সৌরভ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ ত রদল আমল প ড় দল র স
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদে ব্যস্ততা বেড়েছে নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারিপল্লিতে, ৫০০ কোটি টাকা বিক্রির আশা
পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের শতবর্ষী নয়ামাটি হোসিয়ারিপল্লিতে পোশাক তৈরি ও বিক্রিতে ব্যস্ততা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা হোসিয়ারি মার্কেটে পোশাক কিনতে আসেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি। এবার ৫০০ কোটি টাকা বেচাবিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারেরা।
এবারের ঈদে নয়ামাটি-উকিলপাড়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রক, বাবা সেট, গেঞ্জি সেট, সূতি ওয়াশের জামা, চায়না জর্জেট, বড়দের গেঞ্জি, স্যান্ডো গেঞ্জি, টি-শার্ট ও এমব্রয়ডারি করা পোশাকের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া অন্তর্বাস, মাথার টুপি, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১০০ বছর আগে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শহরের নয়ামাটি এলাকায় হোসিয়ারিপল্লি গড়ে ওঠে। পরে নয়ামাটি থেকে তা উকিলপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। হোসিয়ারিপল্লি ঘিরে গড়ে ওঠে হোসিয়ারি মার্কেট। এখান থেকে রাজধানীর সদরঘাট, বঙ্গবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা বয়সী মানুষের পোশাক সরবরাহ করা হয়। নয়ামাটি-উকিলপাড়ায় পাঁচ হাজারের মতো হোসিয়ারি কারখানা আছে। এসব কারখানায় লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। কারখানায় পোশাক উৎপাদন ও বিক্রি দুটোই একসঙ্গে হয়। সারা বছর পোশাক বিক্রির অর্ধেকের বেশি হয় ঈদের মৌসুমে।
নয়ামাটির বিক্রমপুর হোসিয়ারি মার্কেটের ‘অর্পিতা হোসিয়ারিতে’ এবারের ঈদে এক থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের পোশাক তৈরি হচ্ছে। তাদের অ্যাংকর কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদা বেশি। প্রতি ডজন শিশুদের পোশাক ৯৬০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, ফ্রক প্রতি ডজন ১ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
অর্পিতা হোসিয়ারির ব্যবস্থাপক সাকিল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, সুতি ও নিট কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদা বেশি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি। আগামী ২৫ রোজা পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে। সামনের দিনগুলোতে ভালো বেচাকেনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি হোসিয়ারীতে নানা ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। শনিবার সকালে