ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ হয়েছে। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এ বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েক ডজন শিক্ষার্থী। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আমির মোহাম্মদ খালেগি (১৯)। গত বুধবার ছিনতাইকারীর হামলায় নিহত হন তিনি।

নিরাপত্তার ঘাটতি নিয়ে আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েক দফা অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি—এমন অভিযোগ তুলে শুক্রবার থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

গণমাধ্যমের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায়ও চলছিল বিক্ষোভ। সেখান থেকে দুই শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থীদের জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রধান হোসেইন হোসেইনি। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি জানান। এএফপি, প্যারিস

এ বিক্ষোভের বিষয়ে সরকারের মুখপাত্র ফাতেমা মোহাজেরানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব এবং অগ্রাধিকার। শান্তি বজায় রেখে সংলাপের পথ খোলা রাখতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সরকার।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এয়ার ইন্ডিয়ার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন মন্ত্রী

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ভাঙা সিটের টিকিট বিক্রি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। 

গতকাল শনিবার এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, এয়ার ইন্ডিয়া ‘যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা’ করছে। 

তিনি জানান, ভাঙা সিটের ব্যাপারে বিমানের এক ক্রুকে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁকে বলা হয়, সিটটিতে যে ত্রুটি রয়েছে, সেটি সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। এর টিকিট বিক্রি না করতেও বলা হয়েছিল।

এক্সে শিবরাজ সিং লেখেন, ‘পুসার কিষাণ মেলা উদ্বোধন করতে আজ আমার ভোপাল থেকে দিল্লি আসতে হয়। সেখানে বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়। আমি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট নাম্বার এআই৪৩৬ এ একটি টিকিট বুক করি। আমাকে ৮সি সিটটি দেওয়া হয়। বসতে গিয়ে দেখি সিটটি ভাঙা; নিচু হয়ে আছে। সেখানে বসতে অস্বস্তি হচ্ছিল।’ এনডিটিভি। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ