জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান না বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আজ শনিবার বেলা তিনটার কিছু পরে ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের এই বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্দালিভ রহমান বলেন, ‘আমরা স্থানীয় নির্বাচন আগে চাই না। কারণ, স্থানীয় নির্বাচন দিলে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদে মারামারি হওয়ার আশঙ্কা আছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক বেশি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।’

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, গ্রাউন্ড রিয়েলিটি (মাঠের পরিস্থিতি) আলাদা। আওয়ামী লীগের গ্রাউন্ড রিয়েলিটি অনেকে মানে না, মেনে নেবে না। তিনি বলেন, কোনো সংস্কারই যাতে জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত না করে। অনেক রাজনৈতিক দল আবার বলেছে, স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে ভালো হবে। এভাবেই আলাপ চলছে।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দালিভ রহমান বলেন, ‘ছয় মাস পরে আমাদের অর্জন কী, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছয়টা কমিশন কাজ করেছে, আমরা পাশে ছিলাম। আবার সবাইকে রি-ইউনাইট করাটা, এত বড় আত্মদান, সেটা যাতে কোনোভাবেই নষ্ট না হয়। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কোনোভাবেই সেই আত্মদানকে যাতে আমরা আন্ডারমাইন্ড না করি। আগামীতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সিরিজ মিটিং হবে।’

আন্দালিভ রহমান আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে কথা বলেছেন। ছয় মাসে দেশে যা হয়েছে, কীভাবে আমরাসহ সারা দেশের মানুষ পাশে ছিল। কীভাবে আন্তর্জাতিক সমাজ ও শেষে জাতিসংঘ দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের যে পাঁয়তারা ছিল, মিথ্যার ফুলঝুরি ছিল.

..জাতিসংঘের রিপোর্ট আসার পরে অনেকাংশেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

খেলাফত মজলিসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু

সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সকাল ১০টার দিকে এই আলোচনা শুরু হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন, ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৈঠকে রয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

বৈঠকের শুরুতে খেলাফত মজলিসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো জনগণের অধিকার নিশ্চিত ও দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠা করা।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কার, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং জনপ্রশাসন সংস্কারসংক্রান্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পরিক্রমায় আজ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘আর কোনো ফ্যাসিবাদ যাতে গড়ে উঠতে না পারে। মানুষ যেন গুম, খুন, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার না হয়। সে রকমই এক নতুন বাংলাদেশ গড়া আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা ইউসূফ আশরাফের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেয় দলের মহাসচিব জালাল আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।

সংস্কার কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাওলানা ইউসূফ আশরাফ বলেন, ‘আমরা এর আগে বিভিন্ন সংস্কার প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট মতামত পেশ করেছি। সেগুলোর বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে আমরা বিস্তারিত কথা বলতে পারব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কমিশনের উদ্দেশ্য পুনরায় যাতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে: আলী রীয়াজ
  • খেলাফত মজলিসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু
  • ডিসেম্বরের পরে তো প্রশ্নই আসে না
  • ডিসেম্বরের পরে তো প্রশ্নই আসে না বরং নির্বাচন আগে সম্ভব: আমীর খসরু
  • ডিসেম্বরের পরে তো প্রশ্নই আসে না; বরং নির্বাচন আগে সম্ভব: আমীর খসরু
  • সংস্কারের সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়নের পর নির্বাচন চায় এনসিপি
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
  • সংবিধানে মূলনীতির প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তুলেছে এনসিপি
  • আরেকটি ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাংলাদেশে আসবে না: নাহিদ
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক চলছে