কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণানন্দ বকশী সীমান্তে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে পাঁচ কৃষককে মারধর করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বারোমাসিয়া নদীর তীরে গোরুকমন্ডল সীমান্তে নামাটারী আব্দুল্লার বাড়ির উঠানে দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠকে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে।

পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ্ মো.

শাকিল আলম ও ভারতের পক্ষে ০৩ বিএসএফ  ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল অমিত শাহ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রাম সীমান্তে লাগানো সিসি ক্যামেরা সরালো বিএসএফ

কুড়িগ্রাম সীমান্তে সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে রাজি বিএসএফ

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভারতের ১৩৮ নারায়নগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গোড়কমন্ডল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করা বাংলাদেশিরা কৃষকরা তাদের বাধা দিলে মারধর করে। মারধরে পাঁচ বাংলাদেশি আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহত বাংলাদেশিরা হলেন, কৃষ্ণানন্দ বকসী গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে মো. শামসুল, খোকা মিয়ার ছেলে জাবেদ আলী, আবুল কাশেমের ছেলে তাজুল ইসলাম, মুকুল মিয়ার ছেলে মো. রিপন ও মো. মান্নানের ছেলে কাশেম আলী।

মারধরের শিকার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘ভারতের পাঁচ জওয়ান শূন্যরেখা পার হয়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে। আমি জমিতে কাজ করছি। তারা বলেন— এখানে থাকা যাবে না, তোমরা চলে যাও। আমি বলি, আমার জমিতে আমি কাজ করবো না কেন, আপনারা আপনাদের দেশে চলে যান। এরপর বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা আমার শার্টের কলার ধরে মারধর করে।’’ 

স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম আলী বলেন, ‘‘দুপুরে ভারতের জওয়ানরা বাংলাদেশের ভিতরে আসলে আমরা বাধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মারধর করে।’’ আরেক বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএসএফেরা সদস্যরা স্থানীয়দের মারধর করলে আমরা গ্রামবাসী একজোট হয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।’’

গোরকমন্ডল বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিএসএফের মারধরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। আমরা গতকাল থেকে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।’’

এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ্ মো.  শাকিল আলম বলেন, ‘‘আমরা আজ শনিবার দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে। ভবিষতে এমনটা ঘটবে না বলেও জানিয়েছেন তারা।’’
 

ঢাকা/সৈকত/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ র ম রধর ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

পতাকা বৈঠকের পর দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশে ফেরত পাঠানো দুই বাংলাদেশি নাগরিক হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের নিরোধ বৈদ্যর ছেলে লিটন বৈদ্য ও বরিশালের আগৈলঝাড়ার চাঁদনিশিয়া গ্রামের এক তরুণী।

বিজিবি জানায়, গত বুধবার রাতে অবৈধপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে বিএসএফের হাতে আটক হন ওই দুই বাংলাদেশি। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা আটককৃতদের কাছে থাকা পরিচয়পত্র ও মোবাইল যাচাই-বাছাই শেষে বিষয়টি বিজিবি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। পরে বেনীপুর বিওপির অধীনস্থ সীমান্তে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক আহ্বান করে বিএসএফ।

বৈঠকে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনিপুর বিওপির ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. উবায়দুল্লাহ ও ১৯৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পুটিখালি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি হিমাংশু শর্মা দুই দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

আটক বাংলাদেশি নাগরিক লিটন বৈদ্যকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি। এছাড়া, আটক অপর নারীকে যশোরের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/সোহাগ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পতাকা বৈঠকের পর দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ