আলোচনা-সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না ইলন মাস্কের। তাকে ঘিরে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন মার্কিন লেখক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার। ৩১ বছর বয়সী অ্যাশলে এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছেন, ইলন মাস্কের সঙ্গে তার পরিচয় হয় বছর তিনেক আগে। আর পাঁচ মাস আগে তিনি ইলন মাস্কের সন্তানের মা হয়েছেন।

অ্যাশলে লিখেছেন, ‘পাঁচ মাস আগে আমি একটি শিশুর জন্ম দিই। আর ইলন মাস্ক সেই সন্তানের বাবা।’ খবর এনডিটিভির

যদিও এই দাবির বিপরীতে ৫৩ বছর বয়সী ইলন মাস্কের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অ্যাশলে নিজের ও তার সন্তানের নিরাপত্তা, গোপনীয়তার কথা চিন্তা করে এত দিন সন্তানের বাবার পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে কিছু ট্যাবলয়েড পত্রিকা মনগড়া খবর প্রকাশ করছে দেখে সত্যিটা সামনে আনলেন। 

তার মতে, ‘আমি চাই, আমাদের সন্তান একটা স্বাভাবিক আর নিরাপদ পরিবেশে বড় হোক। আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করব, যাতে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করা হয়। এই নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পেছনে না ছোটার জন্য অনুরোধ করছি।’

‘এলিফ্যান্টস আর নট বার্ডস’ নামের এক বই লিখে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অ্যাশলে।

অ্যাশলে ম্যানহাটনে সিটি হলের কাছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত এমন একটি বিলাসবহুল বাড়িতে থাকছেন, যার ভাড়া প্রতি মাসে ১৫ হাজার ডলার বা ১৮ লাখ টাকা। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে অ্যাশলের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, অ্যাশলের সন্তানের বাবা ইলন মাস্ক, এটি শুনে তিনি মোটেও অবাক হননি। বরং তিনি এরকম কিছুই ধারণা করছিলেন।

পুরো ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে অ্যাশলে ইলনের ১৩তম সন্তানের মা। এর আগে ইলন চারটি বিয়ে করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক ইলন ম স ক র

এছাড়াও পড়ুন:

১৪ বছর আগের ঘটনায় ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা, জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও বর্তমান এএসপি মো. মিজানুর রহমান এবং একই থানার সাবেক এসআই মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৪ বছর আগের একটি ঘটনায় করা মামলা জুডিশিয়াল (বিচার বিভাগীয়) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার বিকেলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক এ.কে.এম ছিফাতুল্লাহ্ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আজহারুল ইসলাম। মামলার তদন্ত করবেন ৭ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসাইন।

আদালত সূত্র জানায়, ১৭ এপ্রিল ঈশ্বরগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মো. মিজানুর রহমান ও একই থানার সাবেক এসআই মো. মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন গিয়াস উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মরিচারচর গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে। পরে বিচারকের নির্দেশে আবেদনটি আমলে নিয়ে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।

জানা যায়, মো. মিজানুর রহমান পদোন্নতি পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হয়েছেন। তিনি বর্তমানে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত। আর মো. মাজহারুল ইসলাম পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হয়েছেন।

নিহত শফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন বলেন, আমার বাবাকে কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এর মধ্যে এক নম্বর আসামি ছিলেন নজরুল ইসলাম। তার নাম কেটে দিয়ে অন্যজনের নাম লেখা হয়। এরই মধ্যে চার্জশিট হয়ে গেছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নজরুল ইসলামের নাম সরিয়ে দিয়েছেন।

মামলার আইনজীবী শাহজাহান কবির সাজু সমকালকে বলেন, গিয়াস উদ্দিন যে মামলাটি করেছেন, তাতে এক নম্বর আসামির নাম কেটে দেন সাবেক ওসি ও এসআই। তারা আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন।

মামলা ও বাদী সূত্রে জানা যায়, গিয়াস উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী নজরুল ইসলামের পরিবারের বিরোধ ছিল। ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল ইসলামের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। দীর্ঘদিন ঢাকা ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। পরে ২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি মারা যান শফিকুল। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মো. মিজানুর রহমান মামলা নেননি।

অপরদিকে ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ করলে থানায় এজাহার হিসেবে নথিবদ্ধ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারক।

বাদীর পরিবারের অভিযোগ, ওসি মো. মিজানুর রহমান এজাহার হিসেবে নথিবদ্ধ না করে এসআই মো. মাজরুল ইসলামের মাধ্যমে বাদী গিয়াস উদ্দিনকে বলেন, মামলাটি থানায় এসেছে, বাদীর টিপসই লাগবে। পরে ভুল বুঝিয়ে তার টিপসই নেওয়া হয়। পরে আদালত থেকে বাদী মামলার কপি তুলে দেখেন, নালিশি মামলার ১ নম্বর আসামি নজরুল ইসলামের নাম বাদ দিয়ে বাদীর ভাতিজা আবদুর রশিদের নাম লিখে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ