চার বছর পর ভৈরব পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
Published: 15th, February 2025 GMT
সম্মেলনের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয় ২০২১ সালের শুরুর দিকে। এর প্রায় চার বছর পর গত বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটির নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শুক্রবার ভৈরব পৌর বিএনপির ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকাটি ফেসবুকে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সই ছিল। আগেই এ কমিটির সভাপতি হিসেবে ভৈরব পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভৈরব সরকারি হাজী আসমত কলেজের সাবেক ভিপি মজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
নতুন তালিকায় ১১ জনকে সহসভাপতি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন নজরুল ইসলাম সরকার, জিল্লুর রহমান, আকতারুজ্জামান, আনিস উল্লাহ, জসিম উদ্দিন, কবির আহমেদ বকশী, আসলাম মোল্লা, জোসেফ খান, সোলায়মান সরকার, বদরুজ্জামান বাচ্চু ও মনজিল মিয়া। এ ছাড়া চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন মাসুদুর রহমান লিটন মোল্লা, মাহবুবুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম ও সেলিম রেজা। এতে দুজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন জাকারিয়া ফারুক ও জাহেদুল হক।
দলীয় সূত্র জানায়, রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশ আর প্রতিপক্ষ দলের মামলা-হামলার কারণে এত দিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা যায়নি। সামনে জাতীয় নির্বাচন। সবকিছু মাথায় রেখে পৌর কমিটির কাছ থেকে ভালো নেতৃত্বের আশায় গতকাল বৃহস্পতিবার সম্মেলন ছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে সবার নজরে আনা হয়।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান জানান, দলের জন্য ত্যাগ আছে অথচ বঞ্চিত ছিলেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প র ণ ঙ গ কম ট ব এনপ র স র রহম ন ল ইসল ম কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
হাতে মেহেদি লাগানোর আগে-পরে করণীয়
ঈদে মেহেদিতে হাত রাঙানোর চিন্তা নিশ্চয় আছে? অনেকে হাতে মেহেদি লাগানোর আগে হাতের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য মেনিকিউর বা ব্লিচ করে থাকেন। রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেহেদি লাগানোর আগে পরে হাতে ব্লিচ করা যাবে না। তবে হাতে মেনিকিউর করা যাবে। এই আর্টিকেলে জানিয়ে দিচ্ছি হাতে মেহেদি লাগানোর আগে পরে কি কি করতে হবে।
মেহেদির নকশাগুলোতে জনপ্রিয় হচ্ছে, অ্যারাবিক, মানডালা, জলছাপ, চেক, ফ্লোরাল, মিনিমালিজম, ঝুমকা, চেইন, নূপুর, আংটি, ইমারত, ট্যাটু স্টাইল, গোল নকশা, আঙুল নকশা, পানপাতা এবং গম্বুজ। এর বাইরেও মৌলিক নকশায় সাজাতে পারেন হাত।
ধরনভেদে নকশা ভরাট বা হালকা হয়ে থাকে। ভরাট নকশার ক্ষেত্রে চিকন ও মোটা—দুই ধরনের লাইন ব্যবহার করতে হবে। লম্বা হাতের জন্য মানানসই হতে পারে মানডালা নকশা। শুধু নকশা পছন্দ করলেই হবে না।
আরো পড়ুন:
ঈদের আগে বাড়িতেই করে নিন পেডিকিউর
কর্মক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘সাময়িক অবসর’
মানতে হবে যেসব নিয়ম:
১. হাতে মেহেদি লাগানোর তিন দিন আগে থেকে হাতে ব্লিচ করা যাবে না।
২. হাতে মেহেদি দেওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
৩.হাতে মরা কোষ থাকলে হাত মেনিকিউর করে নিতে পারেন।
৪. হাতে প্রাকৃতিক মেহেদি দিলে সারা রাত রেখে দিতে পারলে ভালো। কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা রাখতে হবে।
৫. হাত ধুয়ে পরিমাণমতো লেবুর রস ও চিনিমিশ্রিত তুলা দিয়ে আলতোভাবে ডিজাইনের ওপরে লাগিয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন। এতে মেহেদির রং গাঢ় এবং স্থায়ী হবে।
বাজার থেকে কেনা মেহেদিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেকের ত্বক। তাই পুরো হাতে মেহেদি ব্যবহারের আগে হাতের কোথাও একটু মেহেদি লাগিয়ে দেখে নিতে পারেন কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। কোনো সমস্যা হলে মেহেদি লাগানো উচিত হবে না।
ঢাকা/লিপি