চট্টগ্রামে সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক জোবায়রুল হক জিয়ানসহ নগরীর বিভিন্ন থানায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- তরিকুল ইসলাম, সেকান্তর হোসেন মিয়া, আবু ফয়সাল, মধুসদন দত্ত, মো.

শওকত হোসেন প্রকাশ বাবুল, মফিজুর রহমান চৌধুরী, নূর হোসেন, মো.ইমন, আবু হানিফ, শুক্কুর আলী বাবু, পান্না শেখ, আনিসুর রহমান, আলাউদ্দিন, মুরাদ, রবিন দাশ, মোহাম্মদ রাহাদ, শওকত হোসেন বাবু, ইশরাত আশরাফি অপি ও ফয়সাল আহমেদ প্রকাশ মানিক।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এসআই মো. ইমরান হোসেন জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম জানান, বিশেষ অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা জোবাইরুলকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

টিআইএন থাকলেও রিটার্ন দেন না, তাদের নোটিশ দেওয়া শুরু

আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না। বিদ্যমান কর অব্যাহতিও কমানো হবে। কিছু ক্ষেত্রে উঠিয়ে দেওয়া হবে। যারা কম হারে দেয়, তাদের বাড়ানো হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। 

তিনি বলেন, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা সত্ত্বেও যারা আয়কর রিটার্ন দেন না, তাদের নোটিশ দেওয়া শুরু হয়েছে। নোটিশ দেওয়া শুরু হওয়াতে লোকজন হয়তো বলা শুরু করবে, তারা খুব ঝামেলায় পড়েছেন। 
ইআরএফ ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‍্যাপিড) যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‍্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রকৃত অর্থে আগামী বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী। কিছুদিন ধরে এনবিআর যে কাজগুলো করেছে, এর মাধ্যমে বিষয়টি টেরও পেয়েছেন সবাই। তিনি জানান, এ বছর দুই দফায় সয়াবিন তেলের শুল্ক কমানো হয়েছে। একইভাবে দুই দফায় চিনির শুল্ক কমানো হয়েছে। এ ছাড়া খেজুর, ডাল, ডিম, চাল, পেঁয়াজ প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। তার সুফলও পাচ্ছেন মানুষ। তবে এ শুল্ক ছাড়ের ফলে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। তবুও জনস্বার্থ চিন্তা করে ছাড় দেওয়া হয়েছে। 
মূল প্রবন্ধে আবু ইউসুফ বলেন, দেশের আর্থিক উন্নতি, পরনির্ভরশীলতা কমানো ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কর আহরণ বাড়াতে হবে। কিন্তু কর আহরণ ও কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে অবকাঠামো সমস্যার কারণে কর-জিডিপি হার এখনও অনেক কম। প্রত্যক্ষ কর আহরণ
কম হওয়ায় রাজস্ব আহরণের জন্য সরকার ভ্যাট ও বাণিজ্যকেন্দ্রিক রাজস্ব আদায়ে বেশি নির্ভর হয়ে পড়ছে, যা নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রভাবিত করছে।
শওকত হোসেন বলেন, বিগত সময়ে কর ব্যবস্থাপনা নিয়ে যেসব চিন্তাভাবনা হয়েছিল, তা ছিল অনেক বেশি গতানুগতিক। সেগুলোর কিছুটা দাতাদের ইচ্ছায় এবং কিছুটা সরকারের ইচ্ছায় হয়েছে। তবে এখন সুযোগ এসেছে পরিকল্পিতভাবে কিছু করার। যারা আয়কর দেন না, তাদের কর দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করলে কর-জিডিপি হার বাড়বে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিআইএন থাকলেও রিটার্ন দেন না, তাদের নোটিশ দেওয়া শুরু
  • যারা আয়কর রিটার্ন দেননি, তাদের নোটিশ দেওয়া শুরু হয়েছে: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • হাতিরঝিলে ৫ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, চারজন গ্রেপ্তার