প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।

শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। আসরের নামাজের বিরতি চলাকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এর আগে বিকেল তিনটার দিকে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক শুরু হয়।

প্রেস সচিব বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ শুরু হয়েছে। বলা যায়, এটা প্রস্তুতিমূলক সভা।

তিনি বলেন, ড.

ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের মিটিংয়ে ২৬টি দল ও জোটের ১০০ জনের মতো রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন। মিটিং এখনও চলমান আছে। মিটিংয়ে যতগুলো পার্টিকে আমরা ইনভাইট করেছি তারা সবাই এসেছেন। বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং জামায়াতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

শফিকুল আলম বলেন, মিটিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা দীর্ঘসময় বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম ছয় মাস অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রথম ইনিংস বা অধ্যায় ছিল। আজকের বৈঠকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। এসময় প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেছেন, আমরা যে দেশ গড়তে যাচ্ছি, তাতে পুরো দেশ এবং বিশ্বের সমর্থন আছে। বড় বড় দেশ আমাদেরকে বলেছে তোমাদের কী চাই, আমরা তোমাদের পাশে আছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ইউনাইটেড নেশনসেরও পুরো সমর্থন আছে।

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ক সরক র র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

খেলাফত মজলিসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু

সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সকাল ১০টার দিকে এই আলোচনা শুরু হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন, ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৈঠকে রয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

বৈঠকের শুরুতে খেলাফত মজলিসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো জনগণের অধিকার নিশ্চিত ও দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠা করা।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কার, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং জনপ্রশাসন সংস্কারসংক্রান্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পরিক্রমায় আজ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘আর কোনো ফ্যাসিবাদ যাতে গড়ে উঠতে না পারে। মানুষ যেন গুম, খুন, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার না হয়। সে রকমই এক নতুন বাংলাদেশ গড়া আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা ইউসূফ আশরাফের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেয় দলের মহাসচিব জালাল আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।

সংস্কার কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাওলানা ইউসূফ আশরাফ বলেন, ‘আমরা এর আগে বিভিন্ন সংস্কার প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট মতামত পেশ করেছি। সেগুলোর বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে আমরা বিস্তারিত কথা বলতে পারব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্কার প্রশ্নে আমজনতার সঙ্গে বৈঠকে বসছে ঐকমত্য কমিশন
  • সুস্থ শিল্প-সম্পর্ক স্থাপনে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য
  • বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে: আলী রীয়াজ
  • ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে তৃতীয় দফায় বিএনপির বৈঠক চলছে
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির তৃতীয় দফার বৈঠক শুরু
  • বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
  • ঐক্য-অনৈক্যের রাজনীতি ও ক্ষমতার ভারসাম্য
  • মূলনীতিতে বহুত্ববাদ নয় বহুমত চায় খেলাফত 
  • কমিশনের উদ্দেশ্য পুনরায় যাতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে: আলী রীয়াজ
  • খেলাফত মজলিসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু