দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার মুনিম শাহরিয়ার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে। এছাড়া তার নামে ‘‘অসংগতিপূর্ণ কথা ও মিথ্যাচার’’ করার কথাও বলেছেন।

ঢাকা লিগের পরবর্তী আসরের পর্দা উঠবে আগামী ৩ মার্চ। দলবদল হবে ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি। গত বছর মুনিম ঢাকা লিগ খেলেছেন পারটেক্সের হয়ে। ৬ ম্যাচে মাত্র ৮২ রান করেছিলেন। ছিল না কোনো ফিফটি। জানা গেছে, পারফরম্যান্সের কারণেই তার পারিশ্রমিক আটকে রেখেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যদিও তাদের বক্তব্য চাওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও মেলেনি।

মুনিম শাহরিয়ার লিখেছেন, ‘‘আমার ক্রিকেট জীবনের একটি বাজে অভিজ্ঞতা এবং আমার কিছু অব্যক্ত কথা বলতে চাই। প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের জীবিকা ক্রিকেট খেলার উপর নির্ভর করে। জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি  আমাদের একমাত্র লক্ষ্য থাকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা এবং দেশের পতাকাকে বিশ্ব মঞ্চে সম্মানিত করা। আলহামদুলিল্লাহ, দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করার সেই সৌভাগ্য আমার হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

কোচদের ঠিকানা পাল্টাচ্ছে

ডিপিএলে এবারও নেই বিদেশি ক্রিকেটার

‘‘এবার ঘটনা প্রবাহে আসা যাক, আমি  (২০২৩-২৪) মৌসুমে অনুষ্ঠিত 'ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ' ক্রিকেটে 'পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের'  হয়ে খেলার প্রস্তাব পাই। যারা ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত তারা অবশ্যই অবগত যে এই ক্লাবটি এতোটা প্রসিদ্ধ ক্লাব নয়, যেমনটা আবাহনী/মোহামেডান বা অন্যান্য ক্লাবগুলো । সদ্য জাতীয় দল থেকে অবস্থান হারানোতে স্বাভাবিকভাবেই আমি মনে করেছিলাম অপেক্ষাকৃত নিচুমানের ক্লাব হওয়ায় এই ক্লাবের হয়ে খেললে আমি সুযোগ বেশি পাবো এবং আমার জাতীয় দলে ফেরার পথ সহজতর হবে ‘’

‘‘তবে বাস্তবতা হলো ক্লাব সংশ্লিষ্ট সকলের সুমিষ্ট ব্যবহারে আমি তাদের কুট কৌশল এবং অভ্যন্তরীণ মনো অপরিচ্ছন্নতা বুঝতেই পারিনি। প্রাথমিকভাবে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিনিধি সাজ্জাদ সাহেব এবং তার ছেলে জারিফের সঙ্গে আমার কথা হয়। সিজন শেষ হবার পূর্বেই আমার পারিশ্রমিক পরিশোধের বিষয়ে তারা প্রতিশ্রুতি দেন। খেলা চলাকালীন সময়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ পারিশ্রমিকের ৫০% পরিশোধ করে। সিজন শেষ হওয়ার পূর্বেই তাদের শতভাগ পারিশ্রমিক পরিশোধের কথা ছিল’’

‘‘ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষ হয়েছে প্রায় এক বছর হতে চললো; অথচ ক্লাব কর্তৃপক্ষ আমার বাকি ৫০% পারিশ্রমিক পরিশোধ করেননি। গত এক বছরে ক্লাব কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সাজ্জাদ সাহেব আমাকে ১০ থেকে ১২ টি তারিখ দিয়েছেন অথচ টাকা পরিশোধ করেনি।’’

‘‘বরং তিনি টাকা পরিশোধ না করার এক্সকিউজ হিসেবে নানা মিথ্যাচার ও অবমাননাকর কথা রটিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যদি এতো মিথ্যাচার না করতেন এবং হয়রানি না করে প্রথমেই বলে দিতেন টাকা পরিশোধ করবেন না;  তবে হয়তো আমি আজকে এই লিখা লিখতাম না। নীরবেই সয়ে যেতাম এবং ক্ষমা করে দিতাম।’’

‘‘পারিশ্রমিক পরিশোধ না করলেও আমার কোন দুঃখ থাকতো না। কারণ এরকম পরিস্থিতির শিকার পূর্বেও হয়েছি। কিন্তু সাজ্জাদ সাহেব আমার ব্যাপারে নানা অসঙ্গতিপূর্ণ কথা ও মিথ্যাচার ক্রিকেট মহলে করে যাচ্ছেন।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র ক

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

হ্যামিল্টনে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮৪ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৯২ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। জবাবে পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ২০৮ রানে অলআউট হয়। প্রথম ম্যাচেও ৭৩ রানে জয় পাওয়া নিউজিল্যান্ড এই ম্যাচেও নিজেদের দাপট দেখিয়েছে। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টম ল্যাথামের দল।

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে বড় অবদান রাখেন ড্যারিল মিচেল। মাত্র ৭৮ বলে অপরাজিত ৯৯ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৭টি চার ও ৭টি ছক্কা। মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও তার ইনিংসেই কিউইরা বড় সংগ্রহের ভিত পায়। এ ছাড়া অভিষিক্ত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ আব্বাস ৬৬ বলে ৪১ রান করেন। ওপেনার নিক হিলি ২৩ বলে ৩১ রান এবং হেনরি নিকোলস ৩২ বলে ২২ রান করেন। তবে বাকিরা তেমন বড় অবদান রাখতে পারেননি।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ ওয়াসিম ও সুফিয়ান মুকিম ২টি করে উইকেট নেন। তবে পাকিস্তানি ফিল্ডাররা বাজে দিন কাটান, অতিরিক্ত ৩২ রান দিয়ে প্রতিপক্ষকে সাহায্য করেন তারা।

লক্ষ্য তাড়ায় কখনই জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি পাকিস্তান। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমের সঙ্গে তৈয়ব তাহিরের জুটিও শেষ হয় ৩৩ রানে। ১১৪ রানে ৮ উইকেট হারানো পাকিস্তান ফাহিম ও নাসিমের ব্যাটে পায় সবচেয়ে বড় জুটির দেখা। নবম উইকেটে তারা গড়েন ৫৬ বলে ৬০ রানের জুটি। দুজনেই পান ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির দেখা।

৮০ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করা ফাহিমের বিদায়ে ভাঙে জুটি। সুফিয়ান মুকিমের সঙ্গে শেষ উইকেটে ২২ বলে ৩৪ রান যোগ করে শেষ ব্যাটার হিসেবে নাসিম আউট হন ৪৪ বলে ৪টি করে ছক্কা-চারে ৫১ রান করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ