চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে অভিযানে নিষিদ্ধ ৩৭৮ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর। শনিবার বিএফডিসি জেটি সংলগ্ন ঘাটে সি পাওয়ার-১ নামের একটি ফিশিং জাহাজ থেকে এসব জাটকা জব্দ করা হয়। মাছগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ জালও জব্ধ করা হয়।

চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার ওসি মো.

একরাম উল্লাহ বলেন, জাটকা সংরক্ষণ আইন এবং নিষিদ্ধ জাল ব্যবহাররোধে সাগরে বিশেষ অপারেশন করে পাওয়ার-১ ফিশিং জাহাজ থেকে জাটকা জব্ধ করা হয়। নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে বেহুন্দি জাল, চরঘেরা জাল, কারেন্ট জাল, বেড় নিষিদ্ধ জাল জব্ধ করা হয়। এ অভিযান নিয়মিত চলবে।

চট্টগ্রাম মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহির জানান, জাটকা সংরক্ষণে ইলিশ রক্ষায় এ অভিযান করা হয়েছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি মৎস্য সম্পদ রক্ষা করায় জোর দেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ টক মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা

পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী। 

আরো পড়ুন:

বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস 

রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ

বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।” 

কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”

কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”

পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান। 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ