বদলে গেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নাম
Published: 15th, February 2025 GMT
ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে এটি ‘জাতীয় স্টেডিয়াম’ নামে পরিচিত হবে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
পাকিস্তান আমলে পাকিস্তান ক্রিকেট দল এই স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচও খেলেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই স্টেডিয়াম ঘিরেই বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন আবির্ভূত হয়। স্টেডিয়ামটি ১৯৫৪ সালে ‘ঢাকা স্টেডিয়াম’ নামে যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতার পর এটি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এর নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম রাখা হয়।
প্রথমদিকে স্টেডিয়ামটি ক্রিকেট, ফুটবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে এটি মূলত ফুটবল ও অ্যাথলেটিকসের জন্য ব্যবহৃত হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নাম পরিবর্তনের বিষয়ে বাফুফে সভাপতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার অংশ হিসেবে বিভিন্ন উপজেলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে গত সপ্তাহে। এবার জাতীয় পর্যায়ের অন্যতম প্রধান এই স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হলো।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে তাগিদ দক্ষিণ সিটি পরিচালনা কমিটির
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির চতুর্থ ‘কর্পোরেশন সভা’ বুধবার নগর ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ২৫ জন সদস্য সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ অনুষ্ঠিত তৃতীয় কর্পোরেশনের সভার কার্যবিবরণী দৃঢ়করণ এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নাগরিকদের চলাচল নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে পবিত্র রমজান মাসের পূর্বেই বিভিন্ন রাস্তায় সৃষ্ট পিটহোলসমূহ মেরামতের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারে সাথে জড়িত ব্যক্তির নামে নামকরণকৃত দশটি (প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম বহাল এবং কয়েকটি স্থাপনা /প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট স্থানের নামে নামকরণের সুপারিশ করা হয়।
সভায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি সরণি’ এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘ইনার রিং সড়ক’, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সরণি’ এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘ঝাউচর প্রধান সড়ক’, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সরণি’ এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘কামরাঙ্গীরচর লোহারপুল-বুড়িগঙ্গা সড়ক’, ‘শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক’, কলাবাগানের নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘কলাবাগান শিশু পার্ক’, ‘শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক’, যাত্রাবাড়ীর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘যাত্রাবাড়ী শিশু পার্ক’, ‘মেয়র শেখ তাপস সেতু’, এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ’, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু পার্ক’, এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘শহীদ জিয়া শিশু পার্ক ’, ‘মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’, এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘গেন্ডারিয়া সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’, ‘মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পার্ক’, এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘সরাফতগঞ্জ পার্ক’, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’ এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘কামরাঙ্গীরচর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’ করার সুপারিশ করা হয়।
সমাপনী বক্তব্যে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, “জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। সীমিত সম্পদ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে ব্যবহারের মাধ্যমে এই জনপ্রত্যাশা পূরণে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে”।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞাসহ বিভাগীয় প্রধান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি