দিনাজপুরের কাহারোলে নামাজরত অবস্থায় তরুণের ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। কিশোরীর চাচা বায়োজিদ সারোয়ার ও কাহারোল থানার ওসি রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মেয়েটির মৃত্যুর আগেই বুধবার রাতে হামলা চালানোর ঘটনায় আরিফ হোসেন নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে নামাজ পড়ছিল কাহারোল উপজেলার দ্বীপনগর গ্রামের জুয়েল রানার মেয়ে মাহি আক্তার (১৫)। এ সময় তার বাড়ির প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে আরিফ।

নামাজরত অবস্থায়ই কিশোরীকে কোমরে আঘাত করে ওই তরুণ এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষতবিক্ষত করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে সে পালিয়ে যায়। পরে মাহিকে উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে মারা যায় ওই কিশোরী।

নিহত মাহির চাচা বায়োজিদ সারোয়ার জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এ তরুণ তাঁর ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করত। দু’দিন আগেও সে বাড়িতে প্রবেশ করেছিল। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর সে সবার অগোচরে বাড়িতে প্রবেশ করে ভাতিজিকে কুপিয়েছে। তিনি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

কিশোরীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় উপজেলার ভাতগাঁ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আরিফ হোসেনকে (১৮) বুধবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত যুবক কারাগারে রয়েছে। কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে যে মামলাটি করা হয়েছে, তাতে এখন হত্যার ধারা যুক্ত হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ য় ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, এক নারী নিহত

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ