অপারেশন ডেভিল হান্টে রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত সৈকতসহ (৪২) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে রাজশাহী জেলায় ১০ জন ও মহানগরে ৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।

যুবলীগ নেতা ইয়াসির আরাফাত সৈকতকে গ্রেপ্তার করেছে জেলার গোদাগাড়ী থানা-পুলিশ। এছাড়া গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেককে গোদাগাড়ী থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

রাজশাহী জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ইয়াসির আরাফত সৈকত ছাড়াও বাগমারা থানার মামলায় জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নাইম ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, চারঘাট থানার মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুর গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে আ.

লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৯ জন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

এদিকে রাজশাহী নগর পুলিশ জানিয়েছে, অপারেশন ডেভিল হান্টে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. অভিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ গ র প ত র কর য বল গ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো হামাস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস জানিয়েছে, অবিলম্বে তারা এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত যেখানে যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে বাকি সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

এক ভিডিও বিবৃতিতে হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, “আমরা (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণের আংশিক চুক্তি গ্রহণ করব না।”

হামাসের কাছে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

খলিল আল-হায়া বলেছেন, “সব বন্দিকে বলি দিয়ে হলেও নির্মূল ও অনাহারের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে নেতানিয়াহু এবং তার সরকার তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার আবরণ হিসেবে আংশিক চুক্তিকে ব্যবহার করে।”

তিনি আরো বলেন,  হামাস ‘ইসরায়েলের হাতে বন্দি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত’ এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রস্তুত।

হামাস এর আগে জানিয়েছিল, তারা যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি সামগ্রিক চুক্তির কথা বিবেচনা করবে।

হামাসের এই ঘোষণার পর অতিডানপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছেন, হামাসের উপর ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়ার’ সময় এসেছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ