টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ভূঞাপুর পৌর শহরের মামা গিফট কর্নারে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার ভাঙচুরের অভিযোগে হযরত আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার  বাড়ি অলেয়া ইউনিয়নের বাড়ই গ্রামে। 

ক্ষতিগ্রস্ত ফুলের দোকানদার আলম বলেন, সন্ধ্যায় কিছু লোকজন এসেই আক্রমণ চালিয়ে দোকানে ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ফুলগুলো রাস্তায় ফেলে দেয়। ভালোবাসা দিবসে কেন ফুল বিক্রি করছি সেটাই অপরাধ। আরেকটি দোকান ভেঙেছে তা-ও কিছু বলিনি। এর আগের দিন তারা ফুল বিক্রি করতে নিষেধ করেছিলেন।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেছেন, ফুলের দোকান ভাঙচুর করার অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। 

এদিকে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে শনিবার ভূঞাপুরে উদীচীর বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উদীচী ভূঞাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান জানান, ভালোবাসা দিবসের বিভিন্ন ঘটনার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বসন্ত বরণের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সময়ে বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান করা হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দু’জন আটক

কুমিল্লার লালমাইয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠক করার অভিযোগে এনামুল হোসেন বাচ্চু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। শনিবার দু’জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমাই থানার ওসি শাহ আলম।

আটক জাহাঙ্গীর হোসেন পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক। এনামুল হোসেন বাচ্চু পেরুল উত্তর ইউনিয়নের পাড়া দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেরুল উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, তাঁর মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর জাহাঙ্গীর ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে ডাক দিলে মেয়ে বের হয়ে যায়। জাহাঙ্গীর তাকে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ে ঘরে এসে ঘটনা বললে গ্রামের মাতবরদের বিষয়টি জানান তিনি। তাঁর ভাষ্য, গত শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে উৎসবপদুয়ার মাতবর জয়নাল আবেদীন ও পাড়া দৌলতপুরের মাতবর এনামুল হোসেন বাচ্চু গ্রামের চায়ের দোকানে বসে জাহাঙ্গীরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ও কান ধরে ওঠবস করান। সালিশে রায় কার্যকরের ৫০০০ টাকা তাৎক্ষণিক জয়নালের কাছে জমা দেওয়া হয়।

লালমাই থানার ওসি শাহ আলম সমকালকে জানান, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠক করায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রামের মাতবর এনামুল হোসেন বাচ্চুকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর রোববার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১
  • প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দু’জন আটক