সোনারগাঁয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার বিতরণ
Published: 15th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শনিবার দুপুরে ১৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নগদ অর্থ, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা তোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদ এর উদ্যোগে পৌর এলাকার তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা তোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদ এর সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিপলুর সভাপতিত্বে ও সহ- সভাপতি মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি রমজান আলী, মো.
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রবিউল হুসাইন, সালাউদ্দিন আহমেদ, সুমন মিয়া ও এরশাদ হুসাইন অন্য প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
‘নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন’
জুলাই হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। যাঁদের রক্তের ওপর দিয়ে দেশ নতুন করে স্বাধীন হলো, তাঁদের হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছেন না।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা এ কথাগুলো বলেন। তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়।
যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, ‘এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।’
শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাঁদের সরকার। কিন্তু তাঁরা শহীদ পরিবারের কষ্ট বুঝতে পারছে না। হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ ও হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের অনেককেই এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। দ্রুত তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, ‘পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না।’
আক্ষেপ করে শাহিনা বেগম বলেন, ‘কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।’
ভাই হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন নাবিল হোসেন। তিনি বলেন, ১৮ জুলাই তাঁর ভাই সোহেল রানা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলন করেছিলেন। পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যার পর বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। আজও ভাইয়ের কবর শনাক্ত করতে পারেননি।
নাবিল হোসেন বলেন, ‘আর কোনো আশ্বাস নয়, রায়েরবাজারে যে ১১৪ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে কবর দেওয়া হয়েছে, তাঁদের শনাক্ত করতে হবে। যাঁরা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে।’