‘জুলাই চার্টারের’ ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন কবে: প্রেস সচিব
Published: 15th, February 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে আমাদের নির্বাচনটা কবে হবে। কারণ, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এরই মধ্যে বলেছেন-ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হতে পারে।”
তিনি বলেন, “আমরা সেক্ষেত্রে হয়তো কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারব। এরপর যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে তারা বাকিটা বাস্তবায়ন করবে।”
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রেস সচিব।
আরো পড়ুন:
ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের প্রস্ততি নিচ্ছে ইসি
সিরাজগঞ্জ ও ঝিনাইদহের ৯টি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস-এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, “ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে, আমাদের আশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল এটাতে স্বাক্ষর করবে। সেটা হবে জুলাই চার্টার।”
সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, “আর যেসব ক্ষেত্রে প্রধান ঐকমত্য প্রয়োজন সেটার জন্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং তারপর আমরা যে রাজনৈতিক সমাধানে যাচ্ছি, কীভাবে আমাদের ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনটা হবে তার জন্য আজকে রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সূচনা।”
এদিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড.
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ঐকমত য
এছাড়াও পড়ুন:
সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাছে নির্বাচনের প্রস্তাব গণসংহতি আন্দোলনের
অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। সেই প্রস্তাবে সংস্কার বাস্তবায়নে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন’–এর প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের কাছে এ প্রস্তাব জমা দেয় গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনিরুদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু ও দীপক রায়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণসংহতি আন্দোলন এ তথ্য জানিয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান বলেন, গণতান্ত্রিক বিনির্মাণের জন্য এ দেশের মানুষ অনেক দিন ধরে সংগ্রাম করছেন। মানুষের সংগ্রামে বারবারই একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় সংবিধানসহ রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন এবং সর্বশেষ গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এটা বাংলাদেশের মানুষের সামগ্রিক অভিপ্রায়ে পরিণত হয়েছে। জনগণের এই অভিপ্রায়কে স্বীকৃতি দিতেই আগামী সংসদ নির্বাচনকে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন’ হিসেবে চায় গণসংহতি আন্দোলন।
জনগণের অভিপ্রায়ের প্রকাশ হিসেবে যখন সংবিধান সংস্কার করা হবে এবং গণভোটের মাধ্যমে তা গৃহীত হবে, তখন সেটা সংবিধানের মূল কাঠামো হবে বলেও উল্লেখ করেন আবুল হাসান। তিনি বলেন, যাকে রক্ষা করাই হবে সর্বোচ্চ আদালতের দায়িত্ব। এর ভেতর দিয়ে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি রচিত হবে।
আইন কমিশন গঠন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কীভাবে সমাজে গণতান্ত্রিক পরিসরের ক্ষতি না করে সামগ্রিক বিকাশের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়, এ বিষয়েও আইন প্রণয়ন করা, ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংস্কার করে একই পরিবারের একাধিক সদস্যদের বারবার ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সদস্য হওয়ার যে আইন, তা বদলের প্রস্তাবও দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।