রাজশাহীতে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার
Published: 15th, February 2025 GMT
রাজশাহী নগরে ভাড়া বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।
ওই নারীর নাম হেলেনা আক্তার (৩৫)। তিনি নগরের চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা রেললাইনের পাশের বস্তির এক কক্ষের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁর স্বামীর নাম আলমগীর হোসেন ওরফে রয়েল। তাঁকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন হেলেনা। আলমগীরকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।
নিহত নারীর মা ও ভাই পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি। চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, আজ সকাল ৯টার দিকে বস্তির এক লোক থানায় ফোন করে ঘরে আগুনে পোড়া লাশ পড়ে থাকার কথা জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ঘরে তেমন আসবাবপত্র নেই। মেঝেতেই ঘুমাতেন ওই নারী। আগুনে পুরো শরীর ঝলসে গেছে। পাশে শুধু একটা মশারিতে পোড়া চিহ্ন দেখা গেছে। আর কিছু পোড়েনি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, হেলেনার আগের স্বামীর ঘরে একটা ছেলে আছে। সে মাদ্রাসায় আবাসিক থাকে। দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে হেলেনা একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। যে ঘরে তাঁরা থাকতেন, তাঁর পাশের ঘরে আরেক প্রতিবন্ধী নারী থাকেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, আগুন লাগলে হেলেনার চিৎকার করার কথা। এ রকম কোনো চিৎকার তিনি শোনেননি। হেলেনার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। তাঁরা দাবি করছেন যে হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে।
সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনার স্বামীকে খুঁজছি। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মনে করা হচ্ছে তিনি পালিয়েছেন। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিহত হেলেনার স্বজনেরা যদি হত্যা মামলা করতে চান, তাহলে মামলা নেওয়া হবে। তবে মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার বলা যাবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠান বাতিল করল ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী
ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে এবারের পহেলা বৈশাখে কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন করছে না প্রয়াত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী’।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. ফকির মাশুক আলমগীর এক বিবৃতিতে জানান, ‘এ বছর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শিশুপার্কের সামনে আমাদের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।’
ফকির আলমগীরপুত্র মাশুক আলমগীর আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। এই প্রেক্ষাপটে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠান আয়োজন করা সংবেদনশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না বলে আমরা মনে করি।’
ঋষিজের এই বৈশাখী আয়োজন ‘নব আনন্দে জাগো’ ১৯৮৩ সাল থেকে নিয়মিত হয়ে আসছে। শুধু ২০২০ সালে, করোনা মহামারির কারণে অনুষ্ঠানটি একবার বন্ধ ছিল। সেই বছর বিপ্লবী গান নিয়ে ফকির আলমগীরকে দেখা যায়নি চেনা মঞ্চে।
ফকির আলমগীর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম শিল্পী। তারও আগে থেকে তিনি শ্রমজীবী মানুষের জন্য গণসংগীত করে আসছিলেন। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রেখেছেন ফকির আলমগীর।
২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ফকির আলমগীর। তবুও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আগ্রহে এবং সংগঠনের প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি চালু ছিল। তবে এবার ব্যতিক্রম। পহেলা বৈশাখে শিশু পার্কের সামনে থাকবে না ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচিত মঞ্চ।