সোনারগাঁয়ে ১৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ২
Published: 15th, February 2025 GMT
সোনারাগাঁয়ে অভিনব কায়দায় মালবাহী পিকআপে মাদক পাচার কালে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকদ্রব্য সরবারহের কাজে ব্যবহৃত ১টি পিক-আপ ভ্যান জব্দ করা হয়। শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ বারী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মুছাপুর ইউনিয়নের যোগীপাড়া লাঙ্গলবন্দ এলাকার মৃত হারুন এর ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম (২৬), ও একই থানা ও ইউনিয়নের পিছ কামতাল এলাকার মনির হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন ওরফে আল আমিন (২৫)।
এর আগে শনিবার ভোরে উপজেলার মেঘনা টোল প্লাজা এলাকা থেকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ বারীর নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আষাঢ়িয়ারচর মেঘনা টোল প্লাজার সামনে একটি পিক-আপ গাড়ি তল্লাসি করে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয় বিক্রয় করছিলো। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য গাঁজা এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে তারা।
এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ বারী জানান, অধিকতর তদন্তের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
জটিলতায় আটকা ১১ কোটির সেতু
গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট সড়কে ফুটানী বাজারসংলগ্ন এলাকায় রয়েছে শাকদহ বেইলি সেতু। জেলা শহরে মানুষের যোগাযোগের জন্য যাতায়াতের পথে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জায়গাটিতে কংক্রিটের সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এদিকে অধিগ্রহণের টাকা না পেয়ে জমি ছাড়ছেন না মালিকরা। এতে আটকে গেছে সেতুর নির্মাণকাজ।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস (এসইউপিআরবি)’ প্রকল্পের আওতায় জেলায় ছয়টি প্যাকেজে ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এর মধ্যে গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ-নাকাইহাট সড়কে ফুটানী বাজারসংলগ্ন এলাকায় প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪ মিটার দীর্ঘ শাকদহ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২২ মে সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সে কাজ শেষ হয়নি। মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে। নির্মাণ শেষ না হওয়ায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ।
স্থানীয় কুন্দেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ ঠিকমতোই হচ্ছিল। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এমনটি হয়েছে। সাধারণ মানুষ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সব জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত এ কাজের বাস্তবায়ন চায়।
বেইলি সেতু দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলছিলেন, অধিগ্রহণ জটিলতায় পাকা সেতুটির কাজ আটকে আছে। বেইলি সেতুও ঝুঁকিপূর্ণ। কিছুদিন আগেও পাটাতন ভেঙে পড়েছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন সেতু ও বেইলি সেতুটি পাশাপাশি। বেইলি সেতুর বিভিন্ন স্থান ভাঙা। ঝুঁকি নিয়ে এর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। নির্মাণাধীন সেতুর এক-তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হওয়ার পর প্রায় দু’মাস ধরে বন্ধ আছে। এ তথ্য জানিয়ে নির্মাণশ্রমিক মোখলেছুর রহমান বলেন, মানুষ জমি না ছাড়ায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ বলেন, সেতুটির বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। অল্প কিছু জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন। সে প্রক্রিয়া শেষ করে সড়ক বিভাগ জমি বুঝিয়ে দিতে পারছে না। জমি পেলে বাকি কাজ কিছু দিনের মধ্যে শেষ হবে।
সেতু এলাকায় জমির মালিক পুন্ডল বাবু ও আ. রাজ্জাক। তাদের ভাষ্য, সেতুর ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু তারা টাকা পাননি। জমি অধিগ্রহণে চার ধারা নোটিশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে দেবেন না।
দুই-তৃতীয়াংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজমল হোসেন বলেন, অধিগ্রহণের কাজ শেষ না হওয়ায় বাকি কাজ আটকে আছে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জহির ইমাম বলেন, অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ করতে তারা কাজ করছেন।