ঢাকার পল্লবীতে দুজন গুলিবিদ্ধ
Published: 15th, February 2025 GMT
ঢাকার পল্লবী এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে দুজন বিদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা হলেন জসিম উদ্দিন ও তাঁর ছোট বোন শাহিনূর বেগম। আহত অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে পল্লবী এলাকার একটি অপরাধী চক্র গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার পর জসিম উদ্দিন ও শাহিনূর বেগমকে গুলি করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের স্বজনের দাবি, পল্লবী এলাকায় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের একজনকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করেছিলেন জসিম। এর জেরে অপরাধীরা তাঁকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুলা জ্বালাতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী
সাভারের আশুলিয়ায় সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচ বছরের শিশুসহ স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার দুর্গাপুর চালাবাজার এলাকার সোহাগ মণ্ডলের মালিকানাধীন দোতলা ভাড়াবাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- মাগুরা জেলার মো. জাহাঙ্গীর (৪০), বিউটি বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে তানহা (৫)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর একটি ওষুধ কারখানায় এবং তার স্ত্রী একটি চামড়াজাত পণ্যের কারখানায় চাকরি করেন। রান্নার কাজে এলপি গ্যাস ব্যবহার করত পরিবারটি।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে দূর্গাপুর এলাকার সোহাগ মণ্ডলের ভাড়া বাড়িতে রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় ওই বাড়িতে থাকা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু মেয়েটি দগ্ধ হলে দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে দগ্ধদেরকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিক সোহাগ মণ্ডল বলেন, যে বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমি থাকি না। আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। আমার ওই বাড়িতে গ্যাসের কোনো লাইন নেই। ভাড়াটিয়ারা সিলিন্ডার ব্যাবহার করেন। বিষয়টি আসলে কী হয়েছে সেটি খোঁজ নিয়ে জানার পরই বলতে পারব।
ফায়ার সার্ভিসের জোন-৪ এর উপপরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, রোববার ভোররাতে আমরা জিরাবো এবং কাঠগড়া এলাকায় দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খবর পেয়ে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নির্বাপন করেছি। কিন্তু গ্যাস লিকেজের বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন মারা গেছেন এবং বাকিরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।