দরজায় কড়া নাড়ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠবে আইসিসির এই বৈশ্বিক আসরের। এবারের আসর সরাসরি সম্প্রচারিত হবে ১২টি দেশ ও অঞ্চল থেকে। পাশাপাশি, প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি ইভেন্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও সম্প্রচারিত হতে যাচ্ছে।

ডিজিটাল মাধ্যমে দর্শকরা ১৬টি ফিডে ৯টি ভাষায় খেলা উপভোগ করতে পারবেন। ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, হারিয়ানাভি, ভোজপুরি, তামিল, তেলেগু ও কন্নড় ভাষায় ধারাভাষ্য পাওয়া যাবে। টেলিভিশনে খেলা উপভোগ করতে হলে ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, তামিল, তেলেগু ও কন্নড় ভাষায় সম্প্রচার দেখা যাবে। স্টার স্পোর্টসের বিভিন্ন চ্যানেল এবং স্পোর্টস ১৮-এ এসব ভাষায় খেলা সম্প্রচারিত হবে।

বাংলাদেশের দর্শকরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সব ম্যাচ সরাসরি দেখতে পারবেন টি স্পোর্টস ও নাগরিক টিভিতে। এছাড়া অনলাইনেও খেলা উপভোগ করা যাবে। টফি অ্যাপেও ম্যাচগুলো সম্প্রচারিত হবে। এছাড়া, আইসিসির নিজস্ব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আইসিসি টিভি থেকে বিশ্বের ৮০টি দেশ ও অঞ্চল থেকে বিনামূল্যে ম্যাচ দেখার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

ইংলিশের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড গড়া জয়

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েও জয় পেল না ইংল্যান্ড। বেন ডাকেটের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩৫১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল ইংলিশরা। কিন্তু জস ইংলিশের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এটিই রান তাড়া করা সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৭ সালে ভারতের দেওয়া ৩২২ রানের জবাব দিতে নেমে জয় তুলে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

শনিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। শুরুতেই ফিল সল্ট (১০) ও জেমি স্মিথের (১৩) উইকেট হারালেও দলের হাল ধরেন বেন ডাকেট ও জো রুট। তৃতীয় উইকেটে ১৫৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন তারা। রুট ৬৮ রান করে এলবিডব্লিউর শিকার হন, কিন্তু ডাকেট ছিলেন আরও ভয়ংকর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ১৬৫ রান করে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে জোফরা আর্চারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৫১ রান করে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বেন ডোয়ারশুইস, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও মারনাস লাবুশেন ২টি করে উইকেট নেন।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৬ রান করে ফেরেন ট্রাভিস হেড, আর ৫ রান করেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তবে এরপর ম্যাথিউ শর্ট ও লাবুশেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দল। শর্ট ৬৩ রান করে আউট হলেও লাবুশেন (৪৭) ও অ্যালেক্স ক্যারি (৬৯) দলের ভিত গড়ে দেন।

এরপর আসল কাজটা করেন জস ইংলিশ। ৭৭ বলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শেষ দিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ো ১৫ বলে ৩২ রান আর ইংলিশের ৮৬ বলে অপরাজিত ১২০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৭.৩ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে উইকেট শিকার করেন মার্ক উড, জোফরা আর্চার, ব্রাইডন কার্স, আদিল রশিদ ও লাইম লিভিংস্টোন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ