প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলের নেতারা
Published: 15th, February 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের’ বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিয়েছেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক শুরু হয়। এটি কমিশনের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারির নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক কমিটিও অংশ নিয়েছে।
বৈঠক শুরুর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “জুলাই-আগস্টে যে অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান হলো তার পরবর্তীতে বাংলাদেশের পুনর্জন্ম। একটা পলিটিক্যাল সলিউশনে আমরা যাচ্ছি।”
আরো পড়ুন:
জাতীয় নির্বাচন আগে দিতে হবে: রিজভী
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শনিবার
শফিকুল আলম বলেন, “আমরা আশা করছি, ছয়টা কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে আলাপ হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো সাইন বা স্বাক্ষর করবে। সেই সাইন ডকুমেন্টটা হবে জুলাই চাটার্ড। সেই জুলাই চাটার্ডের ওপর নির্ভর করবে আমাদের নির্বাচনের তারিখটা কবে হবে।”
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের ‘জাতীয় ঐকমত্য মিশন’ গঠন করা হয়।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ দল ঐকমত য
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য তৈরিতে আলোচনা চালিয়ে যাবে বিএনপি: সালাউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও নির্বাচন ব্যবস্থার উপরে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এগুলোর উপরে বিস্তারিত আলোচনা চলছে। সংবিধান সংস্কার দিয়ে শুরু করেছি, তারপর জুডিশিয়ারি হবে, এরপরে নির্বাচন ব্যবস্থা হবে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই। আজকে যদি শেষ করতে না পারি, পরেও আলোচনা হবে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে শুরু হওয়া বৈঠকের চা বিরতিতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে সিরিয়াস বলেই ঐকমত্য তৈরিতে আলোচনা চালাচ্ছে বিএনপি। স্প্রেড শিটে (রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চিঠি) বিভ্রান্ত সৃষ্টি ও মিসলিড করা হয়েছে। এ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দফাওয়ারী আলোচনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বোঝাতে চাচ্ছি, সংস্কারের বিষয়ে কতটা সিরিয়াস বিএনপি। সংবিধান সংস্কারের মধ্যে ১৩১টা প্রস্তাব আছে, স্পেডশিটে আমরা পেয়েছিলাম মাত্র ৭০টা দফা। দফাওয়ারি আলোচনা চলছে। সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে শুরু করে প্রজাতন্ত্র ও রাষ্ট্রের মূলনীতি, মৌলিক অধিকারের বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনা করব। মোটাদাগে সংবিধান সংস্কারের মৌলিক বিষয়ে তারা যে প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব একটা জায়গায় আসার জন্য। আর যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি সেগুলো ২৫টির মতো একমত ও আংশিক একমত হয়েছি। বাকি অধিকাংশ বিষয়ে স্পেডশিটে আমরা একমত হতে পারি নাই। ১৩১ দফার মধ্য বিস্তারিত আলাপ আছে। কমিশনের মৌলিক প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে আলাপ করে ঐকমত্যে আসার চেষ্টা করা হবে। যে সংস্কারে জাতির কল্যাণ হয় সেটিই বিবেচনা করা হবে।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুডিশিয়ারিতে অল্প বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করছি আমাদের অনেকটা মিসলিড করার মতো হয়েছে। বিস্তারিত মতামত দিতে গিয়ে দেখা গেছে, দেড়শর বেশি দফা ছিল যার মধ্যে আমরা ৮৯টি দফার বিষয়ে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। যে সমস্ত বিষয়ে হ্যাঁ-না জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেখানে গিয়ে দেখলাম বিস্তর ফারাক। যেমন বলা আছে- আর্টিকেল ৯৫ সংশোধনী ব্যতিরেকে এখনই যদি বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়ার জন্য বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ জারি করা হয়, সেটার ক্ষেত্রে বর্তমান সংবিধানের অবস্থা বহাল রেখে বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ ও তার অধীনে কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও আইনটার মধ্যে লেখা আছে কাউন্সিল গঠন করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিএনপি চায় কিন্তু প্রক্রিয়া যেন সাংবিধানিকভাবে হয়। বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশের ক্ষমতাসহ সকল সংস্কার সাংবিধানিকভাবে হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, যাই হোক না কেন সেটা আনকনন্সিটিউশনাল (অসাংবিধানিক) হবে যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা কন্সটিটিউশনে (সংবিধান) গৃহীত না হচ্ছে। কারণ সেখানে অধ্যাদেশ করার মতো ক্ষমতা জুডিশিয়ারিকে দেওয়া হয় নাই। সবকিছু বিধিমাফিক হওয়া উচিত।